বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১১:৫৬:১১

অবশেষে প্রিয় মাঠে ব্যাট হাতে মাতালেন আশরাফুল

অবশেষে প্রিয় মাঠে ব্যাট হাতে মাতালেন আশরাফুল

স্পোর্টস ডেস্ক : সব রকম ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার পর মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অফিস, শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, অ্যাকাডেমি মাঠ কিংবা ইনডোর কোথাও যাওয়া হয়নি আশরাফুলের। এবার প্রিয় মাঠে ব্যাট হাতে মাতালেন আশরাফুল।

যে মাঠের ঘাস, উইকেট ছিল অনেক কাছের। কত সকাল, দুপুর ও বিকেল প্র্যাকটিস, ম্যাচ আর ড্রেসিং রুমে কেটেছে। সেই চিরচেনা ভুবন হয়ে পড়ে অচেনা। তিনি হয়ে পড়েন নীড় হারা পাখি।

সব কিছু ঠিক থাকলে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামই হতো তার সেকেন্ড হোম। কাব ও জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যাটিং ও বোলিং ঝালিয়ে নিতে এবং ফিটনেস লেভেল ঠিক রাখতে হয়ত প্রতিদিন হোম অব ক্রিকেটেই যেতেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।

কিন্তু অনৈতিক কাজ করে নিষিদ্ধ হওয়ায় তার নিজের ভেতরেও একটা অপরাধবোধ কাজ করেছে। পরিচিত মানুষগুলোকে মুখ দেখাতে, চোখাচোখি হতে লজ্জা পেয়েছেন। কাছে থাকা লোকজন কী ভাববে? ইত্যাদি চিন্তার বেড়াজালে আটকে থেকে, বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সাধের শেরেবাংলা স্টেডিয়াম থেকে দূরেই থেকেছেন আশরাফুল।

অনৈতিক পথে হেঁটে তলিয়ে গেছেন অতলে। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে গত তিন বছর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম মুখো হননি। জাতীয় দলে ফেরার নিষেধাজ্ঞা না কাটলেও ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে ফেরার ছাড়পত্র পাওয়ায় এখন সেই হারানো নীড়ে আবার ফেরার সুযোগ এসেছে। এখন থেকে তার ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো বাধা নেই। তাই নিষেধাজ্ঞামুক্ত আশরাফুল তিন বছরের বেশি সময় পর গতকাল দুপুরে পা রাখলেন প্রাণের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।

তার সমসাময়িক ক্রিকেটারদের কারো সাথেও তিন বছর কথা হয়নি। ক্রিকেট যাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ, সেই মাশরাফি, শাহরিয়ার নাফীস, আফতাব ও নাফীস ইকবাল কারো সঙ্গেই যোগাযোগ নেই। সবার সঙ্গে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে। ১৩ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত বিসিবির কোনো কর্মকর্তার ফোন পাননি আশরাফুল।

তাতে কোনো আপে নেই সাবেক এই অধিনায়কের। ‘দুই-তিন বছর আমি নিজেই সবার থেকে দূরে ছিলাম। বলতে পারেন, চেনাজানা মানুষজনের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছি। ফোন নম্বরও পরিবর্তন করেছি। তাই হয়তো কেউ কল দিতে পারেননি।’

আশরাফুল বলেন, ‘ক্রিকেটে ফিরতে পারাটাই ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। নিজের মধ্যে সারাক্ষণই অপরাধবোধ কাজ করত। সেটা কাটিয়ে উঠতে পারাটা একটা চ্যালেঞ্জ। নিজ উদ্যোগে ফিটনেস ধরে রাখার কাজ এবং নিয়মিত ব্যাটিং-বোলিং করেছি।

এত দিন একা প্র্যাকটিস করেছি। টিমের সাথে অনুশীলন করলে বোঝা যাবে কী অবস্থা। এখন বিসিবির জিম, ইনডোর ও অ্যাকাডেমি ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্যই শেরেবাংলায় এসেছি। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে অনুমতি পাব। এজন্য হয়তো একটা লিখিত দিতে হবে।’-নয়া দিগন্ত
১৭ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে