বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৪৪:২২

ব্রাজিলের মার্তা আর আর্জেন্টিনার মেসি, দুইজনের দুঃখটা একই

ব্রাজিলের মার্তা আর আর্জেন্টিনার মেসি, দুইজনের দুঃখটা একই

স্পোর্টস ডেস্ক: খোদ পেলে তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘স্কার্ট–পরা পেলে’। মানে কিনা মেয়েদের ফুটবলের পেলে তিনিই। যদিও পেলে নয়, মার্তার গল্পটা লিওনেল মেসির সঙ্গেই মেলে ভালো। মার্তা আর মেসির দুঃখটা যে একই!

মেসির মতো তিনিও পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়। ২০০৬ থেকে ২০১০—টানা পাঁচবার মেয়েদের বর্ষসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই। মেয়েদের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডও (১৫টি) তাঁর। এত সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার, অথচ সব হয়ে যাচ্ছে অর্থহীন। হবে নাই–বা কেন। জাতীয় দলের হয়ে যে জিততে পারলেন না কিছুই!

৩০ বছর বয়সী মার্তার জন্য এবারের অলিম্পিককে বলা হচ্ছিল শেষ সুযোগ। কিন্তু ব্রাজিলের সেই স্বপ্ন হোঁচট খেল সেমিফাইনালে। টাইব্রেকারে সুইডেনের কাছে হেরে গেল মার্তার দল। মার্তার জোড়া গোলে এই সুইডেনকেই গ্রুপ পর্বে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল।

এ নিয়ে তৃতীয়বার অলিম্পিক সোনার এত কাছে গিয়েও পারেননি মার্তা। ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে তবু রুপা জিতেছিলেন, এবার তো ঘরের মাঠের অলিম্পিকে লড়তে হবে ব্রোঞ্জের জন্য। দুঃখটা তাই আরও বেশি। আর তাই সেমিফাইনাল শেষে মার্তা হু হু কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এমন কান্না দেখা গিয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেই আসরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আর সেরা খেলোয়াড়ের দুটি পুরস্কার জিতেছেন মার্তা। কিন্তু তা হলে কী হবে, ফাইনালে ব্রাজিল যে হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে।


এখানেও মেসির সঙ্গে মিল মার্তার। মেসিও একবারই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন, সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন। কিন্তু জার্মানির কাছেই সেই কখনোই ভুলতে না-পারার যন্ত্রণার হার! একটুর জন্য না পারার আক্ষেপে মেসি পুড়েছেন আরও তিনবার। ২০০৭ সালে মার্তার দুঃখের স্রোতে ​মিশেছিল তাঁর কোপা আমেরিকা হতাশা। ২০১৫ আর ২০১৬ সালেও তা-ই।
জাতীয় দলের হয়ে মেয়েদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯৫ ম্যাচে ৯২ গোল। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলেও পেয়েছেন সাফল্য। উয়েফা কাপ জিতেছেন সুইডেনের উমেয়ার হয়ে। সুইডেনের এই ক্লাবটিতে খেলেছেন চার বছর। এখনো খেলছেন সুইডেনের আরেক ক্লাব রোজেনগার্দের হয়ে। অনেক চেনা সেই সুইড ফুটবলাররাই এবার স্বপ্নটা কেড়ে নিল মার্তার।

মেসি তবু আরেকবার লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হয়তো ২০১৮ বিশ্বকাপই তাঁর লড়াইয়ের শেষ মঞ্চ হবে। কিন্তু মার্তা? সতীর্থ ফরমিঙ্গা ৩৮ বছর বয়সেও ব্রাজিলের হয়ে খেলছেন।

পেনাল্টিতে ব্রাজিলকে হতাশ করা ক্রিস্তিয়ানের বয়স ৩১। মার্তা নিজে আপাতত কান্না মুছে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ের জন্য সবাইকে উজ্জীবিত করার চেষ্টায় ব্যস্ত। তবে শেষের সুর শুনতে পেয়েছেন বলেই হয়তো ব্রাজিলের কোচ ভাদাও বলেছেন, ‘আমরা যদি ফরমিঙ্গা, ক্রিস্তিয়ানে আর মার্তাকে হারিয়ে ফেলি, এটা হবে অপূরণীয় এক ক্ষতি। ব্রাজিলে মেয়েদের ফুটবলের পেছনে সমর্থন খুব সামান্য। তাই নতুন সে রকম খেলোয়াড়ও উঠে আসছে না।’ মার্তা কি শুনবেন জাতীয় দলের ডাক?-প্রথম আলেঅ
১৭ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে