স্পোর্টস ডেস্ক : রবসন কনসেইকাওর হাত ধরেই ব্রাজিল পেল অলিম্পিকে বক্সিংয়ের প্রথম সোনা। তবে এই ব্রাজিলিয়ানের দুর্গম পথ পাড়ি দেয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছোটবেলায় তিনি সালভাদরের রাস্তায় রাস্তায় আইসক্রিম বা মৌসুমি সবজি বিক্রি করেছেন। কালের পরিবর্তনে তিনিই আজ অলিম্পিকের নায়ক। দেশের গর্বিত সন্তান। ব্রাজিলের ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিলেন তিনি।
কনসেইকাও বক্সিংয়ের অনুশীলনের জন্য চোট পাওয়ার ভান করে হাসপাতালে যেতেন। হাতে বাঁধা ব্যান্ডেজ খুলে, সেটিতে কবজি মুড়ে বাউটে নামতেন তিনি।
দেশের হয়ে বক্সিংয়ে প্রথম সোনা জেতার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কনসেইকাও বলেন, আমি একজন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। আজ থেকে আমার জীবনটাই পাল্টে গেল। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।
তিনি বলেন, আমি অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি, তাই এ পদক শুধু আমার সাফল্য নয়, বরং আমার পরিবারের এবং যারা আমাকে এ পথে এগোতে সাহায্য করেছেন, আমাকে ছোটবেলা থেকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
২৭ বছর বয়সী এই লাইটওয়েট বক্সার নিজের এমন গৌরবের পেছনে নিজের দুই বছরের মেয়ের অবদানই দেখছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ওকে বলব, তুমিই আমার সবচেয়ে অনুপ্রেরণা। আমি ওকে সবচেয়ে বড় উপহারটিই দিতে চেয়েছিলাম।
১৭ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ