শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ০২:২৮:৪০

ছোট ভাইয়ের জন্য বড় ভাইয়ের মধুর অপেক্ষা!

ছোট ভাইয়ের জন্য বড় ভাইয়ের মধুর অপেক্ষা!

স্পোর্টস ডেস্ক:সমাপ্তিরেখার কাছাকাছি এসেই কাকে যেন খুঁজতে লাগলেন। অ্যালিস্টার ব্রাউনলির জয় তখন নিশ্চিত হয়ে গেছে, ব্রিটিশ পতাকাও গায়ে জড়িয়ে ফেলেছেন। যাঁর জন্য অপেক্ষা, সেই জনি ব্রাউনলি এলেন একটু পরেই। অ্যালিস্টার মাত্র সমাপ্তিরেখা ছুঁইয়ে ফেলেছেন, ছোট ভাই জনি ছুঁলেন পরপরই। দুজনেই এরপর ট্র্যাকে শুয়েই পড়েছেন। অ্যালিস্টার জিতেছেন সোনা, জনি রুপা। অলিম্পিকের ইতিহাসেই গত ৫৬ বছরে একই ইভেন্টে দুই সহোদরের সোনা-রুপা জেতার এটাই প্রথম কীর্তি।

ঘণ্টা দুয়েকের অমানুষিক পরিশ্রম শেষে অ্যালিস্টার-জনির অবশ্য লুটিয়ে পড়াই স্বাভাবিক। ট্রায়াথলন এমনিতেই অলিম্পিকের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষাগুলোর একটি। প্রায় দেড় কিলোমিটার সাঁতরানোর পর আবার ৪০ কিলোমিটার বাইসাইকেল ভ্রমণ শেষে ১০ কিলোমিটার দৌড়ানো। অ্যালিস্টার এর মধ্যেই এই ইভেন্টে কিংবদন্তি, প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে ট্রায়াথলনে টানা দুই অলিম্পিকে সোনা জয়ও হয়ে গেছে।
সে তুলনায় জনিরই বেশি উন্নতি হয়েছে, লন্ডনে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এবার রুপা। দুই ভাই মিলে আগের কীর্তি ছাড়িয়ে যাওয়ার আনন্দে জনি যেন বিহ্বল, ‘লন্ডনে আমরা দুজন সোনা আর ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। তখন তা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। এবার সেটিও ছাড়িয়ে গেলাম।’

বড় ভাই অ্যালিস্টারের অবদানের কথাও জানাতে ভুললেন না জনি, ‘অ্যালিস্টার না থাকলে আমি এখানে আসতে পারতাম বলে মনে হয় না। ১৩-১৪ বছর বয়সে একবার মনে হয়েছিল, আমি হয়তো খেলা আর চালিয়ে যেতে পারব না। তখন অ্যালিস্টারের জন্যই নিজেকে ফিরে পেয়েছিলাম। প্রতিদিন সকালে ওর ডাকেই আমার ঘুম ভাঙত। তাগাদা দিয়ে বলত, ‘চলো, চলো, আমাদের দৌড়াতে হবে।’

কিন্তু বড় ভাইয়ের উচ্চতায় উঠতে না পারার জন্য একটু কি আক্ষেপ হয় না? পেশাদারির মধ্যেও ভাইয়ের প্রতি জনির শ্রদ্ধা অটুট, ‘আমি ওঁকে হারানোর জন্য যা কিছু সম্ভব সবই করেছি। দিন শেষে আমি রুপা পেয়েছি। আর আমি যদি একজনের কাছেও হারতে চাইতাম, সে হলো অ্যালিস্টার। আমার বয়স এখন ২৬, আরও কয়েক বছর তো খেলবই। এরপরও যদি সোনা না পাই, তখন হয়তো আমার একটু হিংসা হলেও হতে পারে।-প্রথম আলো
১৯ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে