মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:১৩:৪৩

মার্গারিটাকে নিয়ে যা বললো তার স্বজনরা

মার্গারিটাকে নিয়ে যা বললো তার স্বজনরা

স্পোর্টস ডেস্ক : রিও অলিম্পিকে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রাশান মার্গারিটা মামুন বাবা আব্দুলাহ আল মামুনকে তার সাফল্য উৎসর্গ করেছেন। বাবার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আবেগে আপ্লুত গোটা পরিবার। প্রিয়জনদের কাছে ‘রিতা’ নামে পরিচিত স্বর্ণজয়ী এ অ্যাথলেট। বাবার সঙ্গে রিতা সবশেষ ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৬ সালে। মিরপুরে ফুপুর বাসায় রয়েছে মার্গারিটা মামুনের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি।

রিও অলিম্পিকে গোল্ড জিতে মার্গারিটা মামুন এরই মধ্যে বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছেন তার পরিচিতি। টিভিতে ধারাভাষ্যকারও একাধিকবার তাকে বলেছেন, ‘বেঙ্গল টাইগার’।

মার্গারিটার বাবা বাংলাদেশী বলেই সবার কাছে এমন ‘নিক-নেম’ পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী এ জিমন্যাস্ট। আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিয়ে করেছিলেন রাশান অ্যান্নিয়াকে। তাদের ঘরেই আলো হয়ে আসেন মার্গারিটা। ছোট্ট বেলাতেই বাবা স্বপ্ন দেখতেন তার মেয়ে হবেন ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে মার্গারিটাকে- জানিয়েছেন, ফুপু জিন্নাত আরা খান। তাদের কাছে এ জিমন্যাস্ট আদরের ‘রিতা’।

মার্গারিটার ফুপু বলেন, প্রথমে ওর পারফর্মেন্স দেখতে পাইনি। পরে ইন্টারনেটে জেনে টিভি খুলে দেখি হ্যা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। আমার বড় ছেলে মস্কোতে থাকে, সেও জানিয়েছিলো রাত বারোটা ২০ মিনিটে দেখানো হতে পারে। দেখো।

মার্গারিটার ফুফা খায়রুল আনাম খান বলেন, ওর ডাকনাম রিতা। এই নামেই ডাকতাম ছোট থেকেই। তার আকিকাও আমার এই বাসাতেই হয়েছে।

১০ বছরের সাধনায় মার্গারিটার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পেছনে বাবার সাধনার কথাই বারবার বলেছেন পরিবারের লোকজন।

মার্গারিটার ফুপাতো ভাই নওশাদ হাসান খান বলেন, মামা মনে প্রাণে এখনো বাংলাদেশী। আর সেটাই তিনি রিতার মধ্যেও রেখেছেন। এই জন্য অনুষ্ঠানের পরে যে প্রেস কনফারেন্স হয়েছিলো সেখানেও তিনি তার মেডেলটা তার বাবাকে উৎসর্গ করেছেন।

মার্গারিটার ফুপাতো ভাবি সাদাত ফেরদৌস জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিবছর একবার বাংলাদেশ ভ্রমণ করেনই। ওখানে তিনি যতই আরাম আয়েশে থাকুন, বাংলাদেশকে কখনোই ভোলেননি মামুন।

পরিবারের সদস্যরাও মানেন বাংলাদেশে থেকে এমন অর্জন কতটা কঠিন, তবুও ২০০৮ সালে তাদের চেষ্টা ছিলো লাল-সবুজের দেশের জন্যই।

মার্গারিটার ফুফা খায়রুল আনাম খান জানান, যদি সে সেসময় দিল্লীতে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যেত তাহলে তারপরে তিন বছর সে বাংলাদেশের মাধ্যম ছাড়া আর কোনো দেশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খেলা খেলতে পারতো না। তখন আমরা বাধ্য হয়ে এটা থেকে সরে আসলাম।

মার্গারিটা চাচা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা মেজর (অবঃ) আজিজ বলেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অত্যন্ত আগ্রহী ছিলো কিন্তু এনভাইরনমেন্টাল ল্যাকিংসের কারণেই সেটা আর হলো না।

২৫ আগস্ট রিও থেকে পরিবারের কাছে মস্কোতে ফেরার কথা রয়েছে গোল্ড মেডালিস্ট মার্গারিটা মামুনের।-চ্যানেল আই
২৩ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে