বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৮:৩৪:৫৮

'ওয়ালসকে কোচ পাওয়া আমাদের অনেক বড় অর্জন'

'ওয়ালসকে কোচ পাওয়া আমাদের অনেক বড় অর্জন'

স্পোর্টস ডেস্ক: সব ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন বোলিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ দুপুরে দেশীয় ক্রিকেটের অভিবাবক সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার কোর্টনি ওয়ালসের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিসিবির আগে ওয়ালসের চুক্তির বিষয়টি সবার সামনে নিয়ে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। তারা সকালেই তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে ওয়ালসের নতুন এ পথ চলার সংবাদটি আপলোড করেছিল। চুক্তিনুযায়ী আগামি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

কোর্টনি ওয়ালস আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় পা রাখবেন ওয়ালস। ক্যারিবিয়ান এ পেসারকে কোচ হিসেবে পাওয়াকে বড় পাওয়া হিসেবে মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘কোর্টনি ওয়ালস বিরাট একটা নাম ক্রিকেট বিশ্বে। তার এক্সপেরিয়েন্স অনেক। তিনি কেমন করবেন সেটা সময়েই বলে দেবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, এটা আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় এক পাওয়া। তার যে জ্ঞানের ভান্ডার সেটা যদি আমরা সঠিকভাবে নিতে পারি এবং তিনি দিতে পারেন, তাহলে দারুন একটা ব্যাপার হবে। কোর্টনি ওয়ালসের নামটাই বোলারদের জন্য বড় একটা ইন্সপিরেশন। তবে তার কাছ থেকে আমাদের শিখে নিতে হবে।’ এইজ লেবেলে তাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে বলেন, ‘চুক্তিটা তার সঙ্গে কেমন হয়েছে সেটা আমি জানিনা। তবে এটুকু বলতে পারি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলারদের যদি তিনি কিছুটা হলেও হাতে ধরে শিখিয়ে দেন তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। আমি নিজেও বিষয়টা নিয়ে এক্সসাইটেট। তার কাছ থেকে শেখার অনেক কিছুই আছে।

বোলিং কোচ হিসেবে ডোনাল্ড, ভাসের নাম থাকলেও শেষ মুহূর্তে ওয়ালসকে কিভাবে আনা হলো, সে বিষয়ে একেবারেই মুখ খুলতে নারাজ সুজন, ‘এ বিষয়টা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। কে, কবে কিভাবে ওয়ালসের সাথে কথা বলেছেন। চুক্তিটা যেভাবেই হোক না কেন, ওয়ালস আসছেন এটাই আমাদের জন্য বড় অর্জন।’
বড় মাপের তারকা বোলার হলেও কোচিং অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই ওয়ালসের। প্রথমবারের মতো কোনো দলের সঙ্গে এটাই তার প্রথম কাজ। কোচিং অভিজ্ঞতা না থাকলেও সেটা কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন সাবেক এ পেসার, ‘কোচিং অভিজ্ঞতা কোন সমস্যা নয়। তিনি বিশ্বের সব দেশের বিরুদ্ধেই খেলেছেন। আমাদের উপমহাদেশে কিংবা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কিভাবে বল করতে হয়, সেটা ভালোই জানা আছে ক্যারিবিয় এ জীবন্ত কিংবদন্তির। সেই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের পেসারদের সাথে ভাগ করলেই হবে।’
এর আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে পেস বোলার কোচ এ্যান্ডি রবার্টকে আনা হয়েছিল। তখন মাশরাফি-তালহা যুবায়েররা একেবারেই জুনিয়র। রবার্ট তখনি বলেছিলেন এ দু’জন ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলবেন। কোচের কথা সত্যি হয়েছিল। তালহা যুবায়ের ইনজুরির কারণে নিজের ক্যারিয়ারকে লম্বা করতে না পারলেও মাশরাফি এখনো দলের অপরিহার্য বোলার। নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলকে। রবার্টের পর আবার আসছেন ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের আরেক পেসার।
সূত্র : বাসস
১ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে