শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৫:৩২:১৬

১০ মাসে ৩১টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা

১০ মাসে ৩১টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ সালটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক পরিবর্তনের গল্পের বছর। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে দেশে ফিরে বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিন আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সাথে। এরপর বহুত সময় কেটে গেলেও ২০১৬ সালে এখন পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে নি টাইগাররা। তবে এই সেপ্টেম্বর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরছে বাংলাদেশ। সামনে আসছে আফগানিস্তান, এরপর আসবে ইংল্যান্ড। ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু হবে টাইগারদের। এরপর ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক ব্যস্ত সময় যাবে টাইগারদের।

এক নজরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন সিরিজঃ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ: প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজে থাকবে তিনটি একদিনের ম্যাচ। আর এই সিরিজ খেলতে ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। সিরিজের তিনটি ম্যাচেই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর হবে ম্যাচগুলো। এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের রিজার্ভ ডে থাকবে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি একদিনের ও দুইটি টেস্ট ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ: আফগানিস্তান দল দেশে থাকাকালীন অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সিরিজে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে ইংলিশরা। একদিনের ম্যাচ দিয়েই ইংল্যান্ডের এই সফর শুরু হবে। ৭ ও ৯ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম দুইটি একদিনের ম্যাচ। তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২ অক্টোবর। একই মাঠে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট ২০ অক্টোবর থেকে। এরপর ঢাকায় ফিরে সিরিজের শেষ টেস্টটি শুরু হবে ২৮ অক্টোবর।

নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি একদিনের ম্যাচ, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুইটি টেস্টের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ: ইংল্যান্ড সিরিজের পর টাইগাররা ব্যস্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। বিপিএল শেষে কিছুদিনের বিরতি দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। একদিনের ম্যাচ দিয়ে এই পূর্ণাজ্ঞ সিরিজ শুরু হবে। ২৬ ডিসেম্বর প্রথম একদিনের ম্যাচ হবে ক্রাইস্টচার্চে। ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর নেলসনে অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুইটি একদিনের ম্যাচ। এরপর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। নতুন বছরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে টাইগারদের পথচলা শুরু হবে। ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারী নেপিয়ারে হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর ৬ ও ৮ জানুয়ারি মাউন্ট মাউনগানুইতে হবে বাকি দুইটি ম্যাচ। এদিকে প্রথম টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ও সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ ২০ জানুয়ারী থেকে। এই পুর্ণাজ্ঞ সিরিজের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে ১০ দিনের ক্যাম্প করার কথা রয়েছে টাইগারদের।

ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো এক টেস্টের সিরিজ:  ২০০০ সালে ভারতের সাথে টেস্ট দিয়েই বড় ফরমেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। ঢাকায় হয়েছিলো সেই টেস্ট ম্যাচটি। এরপর ১৬ বছর কেটে গেলেও বাংলাদেশ কখনো দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে ভারতে যায় নি। অবশেষে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে ভারত সফরে যাবে। এই সফরে শুধুমাত্র একটি টেস্ট ম্যাচেই থাকবে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটি ভারতের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

শ্রীলঙ্কা সফরে তিনটি একদিনের ম্যাচ, দুইটি টি-টোয়েন্টি ও দুইটি টেস্টের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ: ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) এর বাহিরে বাংলাদেশকে পূর্ণাজ্ঞ সিরিজ খেলার প্রস্তাব দেয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেই প্রস্তাবে রাজি হয়। তবে এই সিরিজের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয় নি। বাংলাদেশের শ্রীলংকায় এই সফরে থাকবে তিনটি একদিনের ম্যাচ, দুইটি টেস্ট ম্যাচ ও দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই পুর্ণাজ্ঞ সিরিজ খেলতে শ্রীলংকা যাবে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ: শ্রীলংকা সফর করে দেশে ফিরে কিছুদিনের বিশ্রাম নিয়ে টাইগাররা চলে যাবে আয়ারল্যান্ড। জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিবে টাইগাররা। বাংলাদেশ, স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ছাড়া এই ত্রিদেশীয় সিরিজের অপর দল নিউ জিল্যান্ড। এই সিরিজে প্রতিটি দল অন্য দলের সাথে দুইটি করে মোট চারটি ম্যাচ খেলবে। এরপর পয়েটের ভিত্তিতে দুই দল ফাইনাল খেলবে। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ মে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ। এরপর ১৭ মে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। ১৯ মে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো আবার মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর নিজেদের শেষে ম্যাচে ২৪ মে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি:  ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে বাংলাদেশ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে চলে যাবে ইংল্যান্ডে। ১ জুন আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ওভালে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ। এরপর একই ভেন্যুতে ৫ জুন বাংলাদেশ মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ৯ জুন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। কার্ডিফে হবে এই ম্যাচটি। আইসিসির একদিনের র‍্যাংকিং এ থাকা শীর্ষ আট দল এই আসরে অংশ নিবে। ১৪-১৫ জুন হবে এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ১৮ জুন ফাইনালের মাধ্যমে এই আসরের পর্দা নামবে।

প্রাথমিকভাবে দশ মাসে একদিনের ম্যাচ, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলে ৩১ টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তাই সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে টাইগারদের। আর ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের সাথে একদিনের ম্যাচ দিয়েই এর সূচনা হবে।-বিডিক্রিকটিম
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে