স্পোর্টস ডেস্ক : তার পায়ে চরকি লাগানো! আজ ধরমশালা তো কাল জেনেভা তো পরশু মুম্বাই। এভাবেই ছুটছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর। সংসদের কাজ, নিজের কেন্দ্রের কাজ, পার্টির কাজ পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাজ! তিনি মানিয়ে নিয়েছেন। ক্লান্তি নেই যেমন, তেমনই এক ব্যক্তির প্রশ্নে একরোখা মনোভাব।
মেজাজে ছিলেন ভারতীয় বোর্ড সচিব। কথায়, কথায় উঠে এল সেই ‘বিতর্কিত’ চরিত্রের প্রসঙ্গ। আসাই স্বাভাবিক। এন শ্রীনিবাসনের প্রসঙ্গ। চোখ গোলগোল করে ফেললেন অনুরাগ। হাসিটা কোথায় যেন মুহূর্তের মধ্যে মিলিয়ে গেল। ‘ওর কথা ছেড়ে দিন। নিজের ক্ষমতার জন্য ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে পিছু–পা হন না। যা খুশি তাই করতে পারেন। আপনাকে বদনাম দিতে পারেন। সত্যি, বেশ অনেকদিন হয়ে গেল রাজনীতির মধ্যে রয়েছি। আমি রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে, রাজনীতি বুঝি, খুব কাছ থেকে দেখেছি। কিন্তু ওই লোকটির মতো ক্ষমতালোভী মানুষ আমি আগে দেখিনি। নিজের ক্ষমতার জন্য যা খুশি তাই করতে পারেন। ওই লোকটাকে আটকানো খুব জরুরি ছিল।’
নিজেই ফিরে গেলেন ডালমিয়া বেঁচে থাকাকালীন বোর্ডের বাতিল হয়ে যাওয়া ওয়ার্কিং কমিটির সভার কথায়। অনুরাগ জানালেন, ‘কী বলবেন বলুন তো! কলকাতায় আমাদের মিটিং শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টা আগে মিটিং রুমে বসে আছেন শ্রীনিবাসন। তাকে তো আর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া যায় না! ডালমিয়া সাহেব পরিষ্কার করে বলে দেন, এই বয়সে তিনি আদালতের অবমাননা করতে পারেন না। সেজন্য মিটিং বাতিল করে দেওয়া হয়। আসলে লোকটার উদ্দেশ্য ছিল যেনতেনপ্রকারেণ সেপ্টেম্বরে বোর্ডের সাধারণ বার্ষিক সভা পিছিয়ে দেওয়া। তা হলে নিজের আইসিসি–র পদটা বেঁচে যাবে। তবে বলে দিচ্ছি এবার আর আইসিসি–র পদ বাঁচানো সহজ কাজ হবে না। আমরা অন্য কাউকে মনোনীত করব বোর্ড থেকে। দেখে নেবেন।’
৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি