বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:০৬:১৫

মোহামেডানকে হারিয়ে শীর্ষে আবাহনী

মোহামেডানকে হারিয়ে শীর্ষে আবাহনী

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরোয়া ফুটবলে সেই দিন আর নেই। মাঠে দর্শক নেই, নেই সেই উত্তেজনা। আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচেও আজ হয়ে থাকে দর্শকশূন্য গ্যালারি। দৃশ্যটা বদলায়নি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের এবারের সাক্ষাতেও। উত্তেজনাও ছড়ালো না সেরকম। আবাহনীর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণই করলো মোহামেডান। শেষ তিন মিনিটে দুই গোল করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে এসেছে আবাহনী।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলাটির শুরু ও শেষে রাজত্ব করেছে আবহনী। মাঝে খেলায় নিয়ন্ত্রণ নিলেও গোল করতে না পারার কারণে ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহামেডান, ৭ ম্যাচে দ্বিতীয় হারের মুখ দেখলো তারা।
আবাহনীর শুরুটা ছিল আক্রমনাত্মক। ইংলিশ ফরোয়ার্ড  লি টাকের সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রথম একাদশে খেলতে নামা হেমন্ত ভিনসেন্ট ও  নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবার সমন্বয়ে গড়া আক্রমণভাগ কোণঠাসা করে ফেলে সাদা কালো শিবিরকে। আবাহনী দুই প্রান্ত ও মাঝমাঠ ব্যবহার করে আর মোহামেডান মাঝমাঠ ছেড়ে দিয়ে মূলত দুই প্রান্তকেই বেছে নেয় তাদের আক্রমণ শানাতে। যার নেতৃত্বে ছিলেন গিনিয়ান ইসমাইল বাঙ্গুরা।
আবাহনী তাদের আক্রমনের প্রথম ফিনিশিংটা পায় ১৮ মিনিটে, ডান প্রান্ত দিয়ে লি টাকের ক্রস বক্সে রিসিভ করে প্লেসিং শট নিয়েছিলেন হেমন্ত। জোর ছিল সেটিতে তবে মোহামেডান গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল দর্শনীয় এক সেভে রক্ষা করেন দলকে।

তবে ২৬ মিনিটে লিড নেয় ঢাকা আবাহনীই। লি টাকের পাস ধরে কোনাকুনি শট নেন মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট। নেহাল এগিয়ে এসেছিলেন কিন্তু ঠান্ডা মাথায় মাটি কামড়ানো শট নেন হেমন্ত, দূরের পোস্টে লেগে জালে আশ্রয় নেয় বল।
মোহামেডান সমতা আনার চেষ্টায় ফুঁসে উঠেছিল কিছুক্ষণ, ৩৪ মিনিটে বক্সের ওপরে আদায় করে নেয় একটি ফ্রি-কিক, আমিনুর রহমান সজীবের নেওয়া সেই ফ্রি-কিকটি পরাস্ত করে আবাহনী গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ শাকিলকে। কিন্তু সেনেগালের ডিফেন্ডার ইয়াইয়া সি তা হেড করলে ব্যর্থ হন।
বিরতির পর আবাহনী কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লে চড়াও হয়ে খেলে মোহামেডান। তবে আাবাহনীর রক্ষণভাগে চিড় ধরাতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে ইসমাইল বাঙ্গুরা বক্সের মাঝে আনমার্কড থেকে বল পেয়েও বেশি দেরি করাতে আবাহনী ডিফেন্ডারদের চ্যালেঞ্জে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান।

উল্টো ৭৬ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রসে প্লেসিং শটে দ্বিতীয় গোল করে ফেলেছিলেন সানডে চিজোবা, তার নিচু প্লেসিং শট ফিস্ট করে বাঁচান নেহাল। ৮৭ মিনিটে লি টাককে আরেকটি সেভে হতাশ করলেও ৮৯ মিনিটে সানডে চিজোবাকে ফেরাতে পারেননি তিনি। মাঝমাঠ থেকে বদলি মিডফিল্ডার শাহেদুল আলমের থ্রু পাসে মাপা প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান সানডে। শেষ মিনিটে মোহামেডানের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন লি টাক।
৭ খেলায় আবহনীর পয়েন্ট ১৫, আর মোহমেডানের ৫।-বাংলা ট্রিবিউন
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে