স্পোর্টস ডেস্ক : মাত্র তিন দিন আগে এই ঘটনা ঘটলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলাই হতো না পাকিস্তানের! জিম্বাবুয়ের কাছে ডি/এল পদ্ধতিতে ৫ রানে হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের নয়ে নেমে গেছে। আটে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কালকের পরাজয়টি নিয়ে অবশ্য পাকিস্তান সমর্থকেরা প্রশ্ন তুলতে পারেন। তবে হার হারই।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বুদ্ধির তারিফ করতেই হচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার পর পরই জিম্বাবুয়ে সফর পিছিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। কারণ ৩০ সেপ্টেম্বরের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ওপর ভিত্তি করেই যে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকিট মিলত। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজের একটি ম্যাচ হারলেই ঝামেলা—এই সমীকরণে পড়তে চায়নি পিসিবি। তাই সিরিজটি একটু পিছিয়ে অক্টোবরেই নিয়ে আসা হয়।
দলগুলোর এমন ক্রমাগত উত্থান-পতন র্যাঙ্কিং এবং দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে আইসিসির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আরেকবার। মাত্র একটি খেলার ফলাফলেই নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে কোন দল আইসিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে এবং কোন দল পারবে না। ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রথম আট দল নির্ধারণেও র্যাঙ্কিংয়ের বিশাল ভূমিকা থাকবে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে ঘিরে পাকিস্তানের এমন নাটক থেকে আইসিসি কিছু করবে কিনা সেটি এখন প্রশ্ন। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হচ্ছে পরবর্তী সময়সীমা। এর আগে আগে ঠিক এ রকম কিছু নাটক বিভিন্ন দল মিলে করে দেখাতেই পারে। কারণ র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর এবং নয় নম্বর দলের মাঝে রেটিং পয়েন্টের তফাৎ মাত্র ২৭! শেষ কয়েকটি স্থানের লড়াই তাই ওই সময়সীমার আশে পাশের কিছু সিরিজের ফল দিয়েই মীমাংসিত হবে।
দলগুলো ইচ্ছামতো সিরিজ আয়োজন করার অধিকার পেয়েছে বলে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ওই সময় একাধিক অনির্ধারিত সিরিজ হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না। যেটি হলে ‘ফেয়ার প্লে’ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকবে না। বিশ্বকাপের বাছাই প্রক্রিয়ার এই ত্রুটি ধরা পড়ায় আইসিসি কোনো উদ্যোগ নেয় কি না-সেটাই দেখার বিষয়।-প্রথম আলো
৪ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর