সুনীল গাভাস্কার: দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে বড় স্কোর তাড়া করে জিতলো, তার থেকে বোঝাই যাচ্ছে ভারতের পক্ষে সিরিজটা কতটা কঠিন হতে চলেছে। গোটা খেলায় এক ওভারের জন্যও মনে হয়নি ওরা সমস্যায় আছে। ডেভিড মিলার, যে ব্যাট হাতে বিপক্ষকে ধ্বংস করার জন্য বিখ্যাত, তাকেও শেষ পর্যন্ত নামতে হয়নি।
প্রথমে আমলা আর ডি’ভিলিয়ার্স এবং পরে ডুমিনি এবং বেহারদিয়েনই ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বের করে নিয়ে যায়। প্রতি ওভারে ১০ রান তাড়া করা সহজ কাজ নয়। এক দিকে যেমন রান ওঠাতে হয়, তেমনই উইকেটও হারালে চলবে না। কিন্তু ডি’ভিলিয়ার্সদের কাছে সেই কাজটা কঠিন মনে হয়নি।
শুরুটা ভালই করেছিল সফরকারী দল। আমলা আর ডি’ভিলিয়ার্স ভারতের ফিল্ডিংয়ে ফাঁক–ফোকর খুঁজে নিয়ে রান ওঠাচ্ছিল। মাঝে মাঝে ধ্বংসাত্মক শটও দেখা যাচ্ছিল। এতেই ওদের ওপর চাপটা অনেক কমে যায়। এমনকী পরপর তিন উইকেট হারালেও ওরা সেটাকে আমল দেয়নি। যখন আপনার ডি’ভিলিয়ার্সের মতো উদ্ভাবক খেলোয়াড় রয়েছে তখন বাকিদের ইনিংস ততটা মর্যাদা পায় না। কিন্তু তাতেও দমে না গিয়ে আমলা বা ডুমিনিরা নিজের কাজ করে গেছে।
বিশেষ করে আমি ডুমিনির কথা বলব। বাঁ হাতি এই খেলোয়াড় যেভাবে অক্ষর প্যাটেলকে তছনছ করলো এবং পরে শেষ ওভারে ম্যাচ জেতাল তাতে প্রশংসাটা ওরই প্রাপ্য। ভারতও বেহারদিয়েনকে বড্ড বেশি খেলার সুযোগ দিয়েছে। ওকে তুলে নিলে এক দিক থেকে অন্তত চাপে রাখা যেত। পাশাপাশি হরভজনকেও এই ম্যাচে খেলানো যেত, কারণ ভাজ্জির বোলিংয়ে একটা বৈচিত্র্য রয়েছে যেটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে খেলা সহজ নয়।
ভাজ্জিকে (হরভজন) প্রথম এগারোয় না রাখলেও অন্তত দলে রাখা উচিত ছিল। ওর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা উচিত না। অভিষেকে কিছুটা নজর কাড়ল শ্রীনাথ অরবিন্দ। ওর পেসে বৈচিত্র্য আছে এবং ইয়র্কার দেওয়ারও ক্ষমতা আছে। কিন্তু ওকে আরও অনুশীলন করতে হবে। নইলে ওর বল মাঠের বাইরে পাঠাতে বেশি সময় নেবে না ডুমিনিরা।
কটকের পিচ ধরমশালার থেকে অনেক বেশি স্পিন সহায়ক হবে বলে আশা করছি। তাই ভারতীয়দের কাছে ঘরের মাঠের পরিবেশ ফিল হতে বাধ্য। এ ছাড়া মাঠের সীমানা বড় হওয়ায় দুই দলকেই সেটা সাহায্য করবে।
প্রথম ম্যাচ থেকে অন্তত এটা বোঝা গেছে, ব্যাটসম্যানরা যত ভালই খেলুক না কেন, বোলাররা যদি তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তবে বিপক্ষ দলেরই সুবিধা হয়ে যাবে।
৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি