মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:৫৮:৪৭

প্যারালিম্পিয়ানদের সংবর্ধিত করলেন শচীন

প্যারালিম্পিয়ানদের সংবর্ধিত করলেন শচীন

স্পোর্টস ডেস্ক: যা নেই তার পিছনে না ছুটে, যা আছে তাই দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে, এটাই জীবনে এগিয়ে চলার মূল মন্ত্র প্যারালিম্পিয়ানদের। আর সেই লড়াইকেই কুর্নিশ জানাতে স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টার দেখা করলেন প্যারালিম্পিয়ানদের সঙ্গে।

অনেক সময়ই হয়তো হোঁচট খেতে হয় এই খেলোয়াড়দের। টিটকিরিও জোটে কখনও কখনও৷ কিন্তু দৌড় থামে না ওঁদের। ফল, প্যারালিম্পিকে কেউ জেতেন সোনা, কেউ রুপো।

রিও ওলিম্পিকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছিলেন ভারতীয় ওলিম্পিয়ানদের সঙ্গে৷ দীপা, সাক্ষী, অভিনব, সিন্ধুদের মনের জোর বাড়াতে গেমস ভিলেজে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন।

কিন্তু শচীন তেণ্ডুলকরকে প্যারালিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে এর আগে কখনও দেখা যায়নি৷ শচীন কিন্তু এই জন্য দারুণ আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন৷ ওলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের মধ্যে এই বৈষম্য মেটানোর জন্য নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার৷ ওলিম্পিক থেকে ভারত একবারই সোনা জয়ের স্বাদ পেয়েছে৷ অভিনব বিন্দ্রার হাত ধরে৷ কিন্তু প্যারালিম্পিকে দেশকে পর পর দু’বার সোনা পাইয়ে দিয়েছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া৷ দারিদ্রকে হারিয়ে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসাটা সহজ ছিল না মায়াপ্পন থাঙ্গাভেলুর পক্ষেও৷

রিওতে এই দক্ষিণী ছেলেই প্যারালিম্পিকে সোনা জিতে গোটা দেশকে অবাক করে দিয়েছেন৷ দীপা মালিক, বরুণ ভাতি সিংদের নিয়ে এত কিছুর পরও তেমন আলোচনা নেই৷ সংবাদমাধ্যমের মাতামাতিও তাঁদের নিয়ে সেরকম নেই৷ ঠিক যতটা সাক্ষী, সিন্ধুরা ওলিম্পিকে পদক জয়ের পর হয়েছিল৷ শচীন এখানেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।

বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে নিজস্ব উদ্যোগে প্যারালিম্পিকে পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন শচীন৷ প্রত্যেকের হাতে পনেরো লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়৷ এছাড়া ভবিষ্যতে তাঁদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করার ব্যাপারেও আশ্বাস দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে দীপা মালিকের গলায় আক্ষেপের সুর, “দেশের মানুষ এখনও ওলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের পার্থক্য করেন৷ সবাই বোঝে না, মানের দিক থেকে দু’টি টুর্নামেণ্টের ফারাক নেই” এমনটাই দাবি তাঁর। -সংবাদ প্রতিদিন।
০৪ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে