স্পোর্টস ডেস্ক: শুভাগত হোমের বলে রিভার্স সুইপ করতে গেলেন বেন ডাকেট। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে উড়ে গেল ব্যাট, ওদিকে বলটি যে প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্টাম্পে চলে যাচ্ছে, সেদিকে খেয়ালই ছিল না ডাকেটের, বোল্ড! এ ঘটনাটাই হতে পারত প্রস্তুতি ম্যাচের ইংল্যান্ড ইনিংসের চুম্বক অংশ। কিন্তু দৃশ্যপট যে আগেই কেড়ে নিয়েছেন ইবাদত হোসেন!
আজ ফতুল্লার প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশ ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচের জয়–পরাজয়ে কীই–বা আসে–যায়! যে লক্ষ্যে ম্যাচের আয়োজন, তাতে দুই দলই সফল। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা পেলেন ব্যাটিং প্র্যাকটিসের সুযোগ, বিসিবি একাদশের খেলোয়াড়েরা পেলেন নিজেদের প্রমাণের সুযোগ। সে সুযোগটা সবেচেয়ে বেশি নিলেন নবাগত ইবাদত।
মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আয়োজিত পেসার হান্টের আবিষ্কার এই ইবাদত। পেসার হান্ট থেকে উঠে এসেই নজর কেড়েছিলেন আকিব জাভেদের। এক সপ্তাহের কর্মশালায় ইবাদতকে দেখেই জাভেদের মনে হয়েছিল এই তরুণ দারুণ প্রতিভাবান। হাই পারফরম্যান্স ইউনিট হয়ে ইবাদত আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই খেলে ফেললেন। শুধু খেললেন বললে ভুল হবে, মুগ্ধ করলেন গতির ঝড় তুলে। বোলিংয়ে এলেন নবম ওভারে। চতুর্থ বলেই উইকেট, সেটাও কার? জেসন রয়ের। ডাকেট এলেন উইকেটে, তাঁকে করা ইবাদতের প্রথম বলটি ছিল অসাধারণ। একটুর জন্য ডাকেটের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায়নি বলটি। ১৩তম ওভারে বল হতাশ করেনি ইবাদতকে। উইকেটকিপার নুরুল হাসানের কাছে যাওয়ার আগে ঠিকই ছুঁয়ে গেল জেমস ভিনসের ব্যাট।
ইবাদতের আগেই বোলিংয়ে এসেছেন আরেক চমক—আলী আহমেদ। কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন তিনিও। কেন কোর্টনি ওয়ালশের নজর কেড়েছেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রথম ওভারেই। কিন্তু সে তুলনায় হতাশ করেছেন কামরুল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন। দুজনে একটি করে উইকেট পেলেও বোলিংয়ে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি ম্যাচে। ১৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক জস বাটলার (৭৬*)। অধিনায়ক নাসির কিংবা গত জুনের পর এই প্রথম বোলিং করতে আসা সৌম্য সরকারও ইংল্যান্ডকে জয় বঞ্চিত করতে পারেননি। তবে ইবাদত ও আলীর বাকি ১০ ওভার না দেখার হতাশাটা রয়েই যাচ্ছে!-প্রথম আল
০৪ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস