বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬, ০৬:৪৩:০২

এই ক্রিকেটারের সঙ্গেই সচিন-কাম্বলির রেকর্ড ভেঙেছিলেন ধোনি। তিনি কোথায়?

 এই ক্রিকেটারের সঙ্গেই সচিন-কাম্বলির রেকর্ড ভেঙেছিলেন ধোনি। তিনি কোথায়?

কৃশানু মজুমদার: মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আছেন তাঁর নিজের জগতেই। তাঁর কীর্তিও অমর হয়ে রয়েছে। কোথাও নেই সাবির হুসেন। তিনি কোথায়? কেউ তাঁর খবর রাখেন?

সচিন তেন্ডুলকরের প্রসঙ্গ উঠলেই বিনোদ কাম্বলির নামও স্মরণ করেন ক্রিকেটপাগলরা। সচিন ও কাম্বলি একইসঙ্গে বেড়ে ওঠেন। স্কুলের হয়ে রেকর্ড গড়েন। এখনও সচিনের প্রসঙ্গ উঠলেই সবাই কাম্বলির কথা বলেন।  

কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রসঙ্গ উঠলে উহ্য থেকে যান সাবির হুসেন। এমনকী ধোনির বায়োপিকেও জায়গা হয় না সাবিরের। অথচ এমনটা তো হওয়ার কথাই ছিল না। ধোনি বললেই সাবিরের নামও ভেসে উঠতে পারত। তাঁর ও ধোনির কীর্তি নিয়েও উচ্ছ্বসিত হতে পারতেন ক্রিকেটভক্তরা। সেসব আর হল না। ধোনির কীর্তি অমর হয়ে রইল। সাবির ঢাকা পড়ে গেলেন।

তাতে অবশ্য অভিমান নেই সাবিরের। বরং বন্ধুর গর্বে গর্বিত তিনি। সেই ছেলেবেলায় ধোনির সঙ্গে জুটিতে রেকর্ড রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন সাবির। ডিএভি জেভিএম স্কুলের হয়ে ১৯৯৭-এ ৩৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন সাবির ও ধোনি। মাত্র ৩০ ওভারে তাঁরা এই রান তুলেছিলেন। তখনও টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের আবির্ভাবও ঘটেনি ক্রিকেটবিশ্বে। অথচ সেই সময়ে ধোনি ও সাবির বিপক্ষের বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়ে এই রান করেছিলেন। ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল ২১৩। আর সাবির করেছিলেন ১৩৮ রান। সেই ইনিংসের স্মৃতিচারণ করতে বসে সাবির এবেলা.ইন-কে বলছিলেন, ‘আগে সচিন ও বিনোদ কাম্বলির একটা রেকর্ড ছিল। আমরা সেই রেকর্ড তিরিশ ওভারেই ভেঙে দিই। ধোনি ওই ম্যাচে আমার সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিল।’

ওপেন করতে নেমে সংহার মূর্তি ধারণ করেছিলেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক। সাবির বলছিলেন, ‘আমার আর ধোনির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। একটা ম্যাচে আমি বেশি রান করলে, পরের ম্যাচেই আমাকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত ধোনি।’ ধোনির বায়োপিকে স্কুলজীবনের দিনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সাবিরকে দেখানোই হয়নি। বন্ধুর বায়োপিক দেখে কি মন খারাপ হয়ে গেল? প্রশ্ন শেষ করতে না-দিয়েই ধোনির ছেলেবেলার বন্ধু বলেন, ‘তিন ঘণ্টায় কি জীবনের সব কিছু দেখিয়ে দেওয়া সম্ভব? কিছু জিনিস তো ছেঁটে ফেলতেই হয়। ধোনির বায়োপিক আমার ভালই লেগেছে।’

নিন্দুকেরা বলে থাকেন, ধোনি নাকি ফোন ধরেন না। ব্যস্ত মানুষ ভারত অধিনায়ক। সবার সঙ্গে দেখাও আজকাল হয় না। কর্মসূত্রে পটনায় থাকা সাবির বলছেন, ‘দু’সপ্তাহ আগে ছবির প্রচারের কাজে এসেছিল ধোনি। তখন দেখা হয়েছিল। শ্যুটিং চলাকালীন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সুশান্ত সিংহ রাজপুত জানতে চাইছিলেন ফেলে আসা দিনের কথা। সেগুলো সব বলেছি।’

বায়োপিকে ধোনির অমর-কীর্তি তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে বিশ্বকাপ জিতেছেন তা-ও দেখানো হয়েছে। উপভোগ্য প্যাকেজ ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। ছবিতে নেই সাবির। একসময়ে যাঁর সঙ্গে জুটিতে রেকর্ড গড়েছিলেন ধোনি, তিনিই থেকে গেলেন ব্রাত্য।-এবেলা
১৩ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে