স্পোর্টস ডেস্ক: মিরাজের বিষে নীলকণ্ঠ ক্রিকেটের জন্মদাতা ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষ প্রথম টেস্ট জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ১২ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি তুলে নেন ছয় উইকেট।
অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচে চার ইনিংস বল করে তৃতীয় বারের মত মিরাজ নিয়েছেন ৫ বা ততোধিক উইকেট। দুই ম্যাচে তিনি মোট ১৯টি উইকেট লাভ করেছেন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয় মিরাজের। অভিষেকে প্রথম ইনিংসে তিনি পান ৬ উইকেট। পরের ইনিংসে নেন ১ উইকেট। পরের টেস্টে ঢাকায় প্রথম ইনিংসে ফের ৬ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট চালাচ্ছিল। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান করে চা বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
চা বিরতির পর দিনের শেষ সেশনের শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই বেন ডাকেটকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রো এনে দেন মিরাজ। এরপর একে একে তুলে নেন অ্যালিস্টার কুক, গ্যারি ব্যালান্স, মঈন আলী, বেইস্টো এবং ফ্লিনের উইকেট।
মিরাজের ঘূর্ণিতেই দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড শেষ ৬৪ রানে ১০ উকেট হারায়। দুই ঘণ্টাও টিকতে পারেনি তারা। টেস্টের তৃতীয় দিনেই গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। আর দুইদিন হাতে রেখে বাংলাদেশ জয় পায় ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১-এ ড্র হয়। সিরিজ ও ম্যাচ সেরা হন মেহেদী মিরাজ।
রোববার বেন ডাকেটকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়ে তাণ্ডব শুরু করেন মিরাজ। ৫ রান করা গ্যারি ব্যালান্সকে ক্যাচ আউট করে স্বাগতিকদের খেলায় ফেরান তিনি। ওই ওভারের শেষ বলে মঈন আলীকে এলবিডব্লিউ করে নিজের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন মিরাজ।
এরপর মিরাজের শিকার ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। ৫৯ রান করা কুককে ক্যাচ আউট করে এ ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেটটি তুলে নেন মিরাজ। শর্ট লেগ থেকে ক্যাচটি ধরেন মুমিনুল হক। এদিন মিরাজের পঞ্চম শিকার জনি বেইস্টো। পরে ফ্লিনকে এলবিডব্লিউ করে গুটিয়ে দেন ইংল্যান্ডের ইনিংস।-যুগান্তর
৩০ অক্টোবর, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস