মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর, ২০১৬, ০৮:১০:৪৩

কোচের পরামর্শে বাড়তি দায়িত্বে তামিম

কোচের পরামর্শে বাড়তি দায়িত্বে তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক: চা বিরতির আগে বেন ডাকেট ও অ্যালিস্টার কুকের ব্যাটিং ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু পনের মিনিটের চা বিরতিই বদলে দিয়েছিল দৃশ্যপট। কেন না কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহের নির্দেশে বিরতির পর মাঠে ফিল্ডিং ঠিক করা, বোলিং পরিবর্তনের কাজগুলো করেছেন সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাপারটা অবশ্য ওই সময়েই অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল।

বলা চলে মিরপুরে ইংল্যান্ডের পটাপট উইকেট পড়ার সময় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিমই। রিভিউর সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন মুশফিক। কিন্তু অধিনায়ক মুশফিক মাঠে থাকার পরও তামিমের সক্রিয় ভূমিকায় সমালোচকরা মুখর হয়ে উঠছেন, অনেকে ভিন্ন কিছু আঁচ করছেন। যদিও বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, হাতুরুসিংহের পরামর্শেই মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন তামিম। তবে সেটা নেতৃত্ব নয়। শুধু মাঠের বাইরে থেকে কোচের দেয়া পরামর্শ অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা শেষে মাঠে বাস্তবায়ন করেছেন সহ-অধিনায়ক।

বাংলাদেশ দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ক্রিকেটার আরও বলেন, দল হিসেবে এই ঘটনায় ভিন্ন কিছু দেখছেন না তারা। এমনকি চা বিরতির সময় কোচ আলাদা করে বলেননি যে, মাঠে ফিল্ডিং, বোলিং পরিবর্তনটা তামিমই করবে। তরুণ ওই ক্রিকেটার বলেন, ‘মুশফিক ভাই তো কিপার ছিল। বিভিন্ন তথ্য মুশফিক ভাই তো বাইরে গিয়ে নিতে পারেন না। তামিম ভাই ফিল্ডিং করেন। উনি বাইরে গিয়েছিলেন, আসার সময় কিছু তথ্য নিয়ে আসছিলেন। কাউকে বোলিংয়ে আনা, ফিল্ডিং ঠিক করা এসব বিষয় আর কি। সেগুলো নিয়ে এসে তামিম ভাই, মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই সব ঠিক করেছে। ’

তামিমের নেতৃত্ব দেয়া সম্পর্কে ওই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘এমন কিছুই হয়নি। অধিনায়কত্ব মুশফিক ভাই করছে। হয়তো কিছু তথ্য তামিম ভাই বাইরে থেকে আনছে। কাউকে তো বাইরে থেকে আনতে হয়। কোচের একটা প্ল্যান থাকে। বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং নিয়ে তার পরামর্শ তামিম ভাই শুনে আসছিলেন।’

কোচ হাতুরুসিংহের উজ্জীবনী বক্তব্যই চা বিরতির পর বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। এরপর বিনা উইকেটে ১০০ রান নিয়ে বিরতিতে যাওয়া ইংল্যান্ড পরবর্তী ৬৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে। ক্রিকেটারদের কোচ ওই সময়ে বলেছিলেন, ‘দেখো আমরা একটা ম্যাচে অনেক ভালো পারফর্ম করছি। তামিম একটা সেঞ্চুরি করেছে। আমরা দ্রুত উইকেট হারানোর কারণে প্রথম ইনিংসটা বড় হয়নি। এখানে যে উইকেট আছে তাতে ৫০ রানে ৫-৭ উইকেট পড়ে যেতে পারে। শুধু দরকার তোমাদের সবার ইচ্ছাশক্তি ও জেতার আগ্রহ। এখান থেকে যদি ম্যাচ ছেড়ে দেই ওরা জিতে যাবে। আর যদি ধরি তাহলে ভালো কিছু সম্ভব। প্রত্যেকে নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাস রাখো। সবাই সবার সেরাটা দাও। মাঠে সবাই লড়াই করো। আমরা হেরে যাই তারপরও শেষ পর্যন্ত লড়বো। ভালো জায়গায় বল করো।’

এমনিক গত রবিবার প্রথম সেশনে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের নির্দেশনাও কোচের কাছ থেকে এসেছিল। এই উইকেটে ব্যাটিংয়ের জন্য কোচের পরামর্শ প্রসঙ্গে ক্রিকেটারটি বলেন, ‘কোচ বলছিলেন, এই উইকেটে দুইটা শট ছাড়া আর কিছু খেলার নাই। একটা ডাউন দ্য উইকেট, আরেকটা সুইপ।-ইত্তেফাক
০১ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে