স্পোর্টস ডেস্ক: মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দাদা নরেন্দ্র সিংহ ধোনি অভিমানী এক মানুষ। ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে খারাপ তা এতদিনে জেনে গিয়েছে গোটা দেশ।
রাঁচিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ড খেলা চলছিল, সেই সময়ে নরেন্দ্রর অস্ত্রোপচার হয়। সবাই দেখতে যান নরেন্দ্রকে। ব্যতিক্রম শুধু ধোনি। দাদার অসুস্থতার কথা শুনেও হাসপাতালে যাননি ভারতের সফলতম অধিনায়ক। এর জন্য নরেন্দ্র সিংহ ধোনির অসন্তোষ রয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন তিনি, এমন ছবিও পোস্ট করেছেন ধোনির দাদা।
শোনা যাচ্ছে, তাঁর গলব্লাডারে স্টোন হয়েছিল। সেই কারণেই অস্ত্রোপচার করতে হয় নরেন্দ্রকে। তিনি এখন নিজের দ্রুত মৃত্যু কামনা করছেন। অভিমানী মানুষরা এমনটাই হন। কখনও ছবি পোস্ট করে জানাচ্ছেন, নিজের কবর তিনি নিজেই খুড়ছেন। আবার ভাই ধোনি সম্পর্কে কবিতা লিখছেন। সেই কবিতা পোস্টও করছেন ফেসবুকে। সেই কবিতাগুলোর সুর অন্যরকম। ভাইয়ের কাছ থেকে এতটা দুঃখ পাবেন আসা করেননি নরেন্দ্র। আর তাই নরেন্দ্রর ধারণা, তাঁর মৃত্যু হলে তবেই ধোনি বুঝতে পারবেন দাদার গুরুত্ব। ধোনির কি মন গলবে তাতে? কেউ জানেন না সেই কথা।
দাদা হিসেবে নরেন্দ্রকে তো গুরুত্বই দেননি ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। সেই কারণেই ধোনির বায়োপিকে রাখা হয়নি নরেন্দ্রর চরিত্র। কেন রাখা হল না নরেন্দ্রকে? জাতীয় দলের অধিনায়ক অবশ্য মুখ খোলেননি এই প্রসঙ্গে। নরেন্দ্র সিংহ ধোনি একের পর এক পোস্ট করে পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ধোনির এহেন আচরণে দুঃখ পেয়েছেন তিনি। ধোনির প্রথম দিককার কোচ চঞ্চল ভট্টাচার্যও বায়োপিক দেখে দুঃখ পেয়েছেন। তাঁকে বিশেষ দেখানো হয়নি ছবিতে। যা দেখার পরে চঞ্চলবাবু বলেছিলেন, ‘ধোনির কোচ ছিলাম, ছবিটা দেখার পরে এখন আর তা মনে হচ্ছে না।’
ছোট ছোট অভিমান সবারই রয়েছে। ধোনির দাদা নরেন্দ্রর অভিমান সবচেয়ে বেশি। হাজার হোক, ধোনি তো তাঁর ভাই। আর ভাইয়ের বায়োপিকে দাদারই জায়গা না-হওয়ায় শোকে, দুঃখে নরেন্দ্র এখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। পুরোটাই অবশ্য অভিমানের বশে। মানুষ প্রচণ্ড দুঃখ পেলে এমনটাই বাবনাচিন্তা করে। নরেন্দ্রও এখন সেই চিন্তাই করছেন।-এবেলা
২ নভেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস