বৃহস্পতিবার, ০৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৮:৪৬

খুলনা টাইটান্স-এ রানা আর সেতু

খুলনা টাইটান্স-এ রানা আর সেতু

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে খুলনা দল যে একটা পরিবারের মতো করে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করে, এটা আর নতুন কোনো কথা নয়। সেই ঐতিহ্য ও পারিবারিক ভালোবাসার পথে হাটছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দল খুলনা টাইটান্সও।

খুলনার মহাতারকা খেলোয়াড়দের শেষ অবদি দলে নানা কারণে না পেলেও দলটি অত্যন্ত গর্ব ও শোকের সাথে স্মরণ করছে খুলনার দুই প্রয়াত তারকা মানজারুল ইসলাম রানা ও সাজ্জাদুল হাসান সেতু। গতকাল টাইটান্সের অফিশিয়াল জার্সি উন্মোচনের সময় সবাইকে চমকে দিয়ে উন্মোচন করা হলো রানা ও সেতুর নামেও দুটি টাইটান্সের জার্সি। রানার জার্সিতে ঠাই পেলো তার চিরচেনা সেই ৯৬ নম্বরও।

এখানেই শেষ হচ্ছে না টাইটান্সের রানা ও সেতু স্মরণ। তারা চেষ্টা করছেন, টূর্নামেন্ট জুড়ে প্রতিটি খেলোয়াড়ের সাথে এই দুই প্রয়াত ক্রিকেটারকে রাখতে। সে জন্য খুলনা টাইটান্স এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। দলের মূল জার্সির ডান হাতে তারা কোনো স্পন্সরের লোগো নেবেন না। এই জায়গাটায় বরং লেখা থাকবে রানা ও সেতুর নাম।

খুলনা দলটির উপদেষ্টা এবং খুলনার ক্রিকেটারদের এক করে তোলার প্রাণপুরুষ হাবিবুল বাশার এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বললেন, ‘রানা ও সেতু আমাদের কতোটা ছিলো, তা তো আপনারা জানেন। আমরা এখনও রানাকে ছাড়া সময় মেনে নিতে পারি না। আমার কাছে খুলনা মানে একটা বিশাল পরিবার। আর রানা ও সেতু সেই পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ওদেরকে স্মরণে রাখতে চাই। ওদের এই নাম নিশ্চিত আজকের তরুন ক্রিকেটারদের প্রেরণা দেবে। এ ব্যাপারে আমাদের দল মালিকরাও দারুন আগ্রহ দেখিয়েছেন।’

দল মালিকদেরও আগ্রহটা খুব অযৌক্তিক নয়। টাইটান্স দলটির মালিক কাজী ইনাম আহমেদ, তার বড় ভাই কাজী নাবিল আহমেদ খুলনা এলাকারই সন্তান। তাদের পিতা কাজী শাহেদ আহমেদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও দেশের বিশিষ্ট্য শিল্পপতি।

খুলনা টাইটান্সের কর্ণধার কাজী ইনাম আহমেদ যেমন বলছিলেন, ‘খুলনা টাইটান্স যতো বছর বিপিএলে অংশ নিবে ততোবছর ৯৬ জার্সি পরেই মাঠে আমাদের সঙ্গে থাকবেন রানা। সেতুও একইভাবে আমাদের পাশে ছায়া হয়ে মিশে থাকবে।’

কাজী ইনাম তার খুলনা দল করার পেছনের কথা বলতে গিয়ে বলছিলেন, `আমার মা এবং বাবা আমাকে সবসময়ই  ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত হতে আমাদের উৎসাহিত করেছেন। বিপিএলে গত বছর খুলনার থেকে কোনো দল ছিল না। আমরা তখন থেকেই আগ্রহী ছিলাম খুলানাকে নেওয়ার ব্যাপারে। বিসিবি আমাদের সহযোগিতা করায় তাদের ধন্যবাদ।’

এই খুলনা এলাকার মানুষগুলোর উদ্যোগেই আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরছেন রানা ও সেতু।

উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৭ সালের ১৬ই মার্চ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বালিয়াখালি ব্রিজের নিকট এক সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ৬ টেস্ট ও ২৫ ওয়ানডে খেলা মানজারুল ইসলাম রানা ও তার বন্ধু ক্রিকেটার সাজ্জাদুল হাসান সেতু।-খেলাধুলা
৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে