স্পোর্টস ডেস্ক: মোস্তাফিজুর রহমানইংল্যান্ড সিরিজের পর ছুটিতে চলে গেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ কোচিং স্টাফের অন্যরা। ঢাকায় আছেন শুধু পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তাঁর ব্যস্ততা মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে।
ইংল্যান্ডে কাঁধের অস্ত্রোপচার করিয়ে এসে এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার শেষ ভাগে আছেন বাঁহাতি এই পেসার। চার-পাঁচ দিন হলো মিরপুরের ইনডোরে বোলিং শুরু করেছেন। তবে পুরো রানআপ এবং পুরো শক্তিতে বল করতে সময় লাগবে আরও। মোস্তাফিজের অবস্থার উন্নতির কথা বলতে গিয়ে কাল ওয়ালশই জানালেন, ‘ওর কাঁধে এখনো একটু আড়ষ্টতা আছে, তবে সেটা বড় কোনো সমস্যা নয়। এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই উন্নতি হয়েছে তার। এখন শুধু তাকে বোলিংয়ে ফেরানোরই চেষ্টা করছি, যেন সে তার কাজটা অন্তত ৪০-৫০ ভাগ করতে পারে।’
ইনডোরের নেটে এখন পর্যন্ত এক দিন বিরতি দিয়ে দিয়ে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। আজই প্রথম টানা দ্বিতীয় দিন বোলিং করার কথা। সেটা ঠিকঠাক করতে পারলে ৯ বা ১১ নভেম্বর মোস্তাফিজকে নিয়ে আরেকটু বেশি কাজ করাবেন ওয়ালশ, যাতে তাঁর শরীরের আসল অবস্থাটা বোঝা যায়। এর দু-এক দিনের মধ্যেই মোস্তাফিজের ফিটনেস ও বোলিং সামর্থ্য সম্পর্কে মোটামুটি স্পষ্ট ধারণা মিলবে বলে জানিয়েছেন কোচ। তবে তিনি আশাবাদী, ‘পুনর্বাসন অনেক ভালোভাবে করেছে ও। বোঝা যাচ্ছে সে তার কাজটা করেছে।’
মোস্তাফিজকে খেলায় ফেরানোর ব্যাপারে খুব তাড়াহুড়া করতে রাজি নন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি, ‘পুরোপুরি ফিট না হলে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটে ফেরাতে তাড়াহুড়া করব না। সে এত বড় সম্পদ যে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। কাঁধের অবস্থা পুরোপুরি আগের অবস্থায় না ফিরলে মাঝে মাঝেই সে সমস্যা বোধ করবে।’ ওয়ালশ মানেন, মোস্তাফিজের মতো একজন বোলারের দ্রুত ফেরাটা বাংলাদেশ দলের জন্যই জরুরি। একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের শুরুতেই চোটে পড়া ২১ বছর বয়সী এই তরুণের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে চান পেস বোলিং কোচ, ‘প্রথমে তাকে আগের মতো ফিট করতে হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও, বলতে পারেন আমার দেখা বোলারদের মধ্যেও সে বিশেষ কেউ। তার মতো একজনকে যত দ্রুত সম্ভব দলে পেতে চাইবেন আপনি, এটাই স্বাভাবিক। তবে পুরো ফিট না হলে তাকে খেলাতে তাড়াহুড়া করব না। তাকে আমি একটা সম্পদ হিসেবেই দেখি।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পেসারদের বলতে গেলে অব্যবহৃতই রেখেছে বাংলাদেশ। এই কন্ডিশনে এর বিকল্প দেখেননি ওয়ালশও। পেসারদের আসল পরীক্ষাটা আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজেই হবে বলে বিশ্বাস তাঁর, ‘নিউজিল্যান্ডে আমাদের পেসারদের ভালো একটা পরীক্ষা হবে। আমি খুব রোমাঞ্চিত, কারণ দেখার জন্য বা কাজ করার জন্য সেখানে সবাইকেই পাব আমি। আমি সেটি নিয়ে পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছি।’-প্রথম আলো
০৭ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস