স্পোর্টস ডেস্ক: তখন ইংনিসের শেষ বল। এক বলে রাজশাহী কিংসের প্রয়োজন চার রান। অন্যদিকে খুলনা টাইটানসের প্রয়োজন একটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত শেষ বলে সব চাপ জয় করে নাজমুল হোসেন অপুকে স্ট্যাম্পড করে শেষ হাসিটা হেসেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস। খুলনার এই অধিনায়ক শেষ ওভারে শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ৩ রানের রূদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন।
শেষ ৬ বলের মিশনে নেমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ইনিংসের শেষ বলটা করতে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়েন। এমনই অবস্থা ছিল তখন যে শেষ বলটা করতে গিয়ে থেমে যান।
সেই শেষ বলের প্রসঙ্গে খুলনার এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি নিজের ওপর খুব একটা চাপ নিচ্ছিলাম না। তবে শেষ বলটা করার সময় চাপে ছিলাম। আমি শুধু ভাবছিলাম, যদি ভালো জায়গায় বল ফেলতে পারি, আর ভাগ্যের সহায়তা পাই। তাহলে হয়তো ম্যাচ জিততেও পারি।’
ইনিংসের শেষ বলে ব্যাটিংয়ে ছিলেন নাজমুল হোসেন অপু। শেষ বল করার আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভয় ছিল ব্যাটের কোনায় লেগে না আবার চার হয়ে যায়। তাই ওই মুহূর্তেই নাজমুলকে নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনা করে শেষ বলটা ছোঁড়েন, ‘হ্যাঁ, আমি ওইটাই চিন্তা করছিলাম। আমার পরিকল্পনা ছিল আউটসাইড অফস্টাম্প। আমি জানি, অপুর একটা ভালো অপশন হচ্ছে স্লগ সুইপ। তাই আমি ওই জায়গায় বল ফেলতে চাচ্ছিলাম না। শেষের আগের বলটায় তাই আমি একটু থেমেছিলাম, দেখতে চেয়েছিলাম সে কী করে। দেখি যে সে আসলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েছে। তারপর আমি আমার পরিকল্পনাই ঠিক রেখেছি, ভেবেছি আউটসাইড অফস্টাম্পেই বল করবো। এক্সট্রা কভার ফিল্ডারটাও বের করে রেখেছিলাম। অপু মিস করেছে, আমরাও ম্যাচটা জিতে গেছি।’
বুধবার মাত্র দুই ওভার বোলিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে এক ওভার বোলিং করে শেষ ওভারটা তিনি বোলিং করেছেন। তখন ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে শেষ ওভারে বোলিং করেছেন জানতে চাইলে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। শেষ মুহূর্তে আমার হাতে স্ট্রাইক বোলার হিসেবে শফিউল আর জুনায়েদ ছিল। জুনায়েদের একটা ওভার বাকি ছিল। ওকে মাঝখানে এক ওভার করিয়েছি, কারণ উইকেট দরকার ছিল। সৌভাগ্যবশত, পরের ওভারে শফিউল আমাদেরকে সেই ব্রেক থ্রু’টা এনে দেয়। স্যামির উইকেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর শেষ ওভারে যেহেতু অন্য কোনও বিকল্প ছিল না, তাই আমার বোলিংয়ে আসতে হয়েছে।’
৯ নভেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস