স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পেরেক এবার দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিকেটে মোটেই দিন ভালো যাচ্ছে না দাপুটে অস্ট্রেলিয়ার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আসলেও হয়তো টাইগাররা রুখে দেবে তাদের।
এবার নিজেদের মাটিতে মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে গেলো তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৭৭ রানে হেরে চাপে ছিল স্বাগতিকরা। এবার হোবার্টে দ্বিতীয় টেস্টেও তারা লজ্জা দিয়ে শুরু করলো। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩২.৫ ওভারে অলআউট হলো ৮৫ রানে। দেশের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা এটি তাদের।
১৯৮৪ সালে পার্থে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা অলআউট হয়েছিল সর্বনিম্ন ৭৬ রানে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার ও মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতো বোলাররা। হোল্ডিং একাই সেবার নেন ৬ উইকেট। আর অস্ট্রেলিয়াকে এবার লজ্জা দিলো ভারনন ফিল্যান্ডার, কাইল অ্যাবট ও কাগিসো রাবাদারা। ইনজুরির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা পেসার ডেল স্টেইন এ ম্যাচে খেলছেন না। কিন্তু ফিল্যান্ডার ও অ্যাবটের বোলিং তোপই সামলাতে পারলো না অজিরা। দু’জনে যথাক্রমে নেন ৫ ও ৩ উইকেট।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া এমন অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় পড়ছে প্রায়। ২০১১ সালে কেপ টাউনে তারা অলআউট হয় মাত্র ৪৭ রানে। সেবারও তাদের প্রতিপক্ষ ছিল এই দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহ্যামশায়ারে বিধ্বস্ত হয় ৬০ রানে। ওই দুই ইনিংস দেশের বাইরে হলেও এবার তারা লজ্জা পেলো নিজেদের মাঠে। ৩২ বছর পর নিজেদের মাটিতে সর্বনিম্ন রানের নেতিবাচক রেকর্ড গড়লো তারা। অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা আছে। সেটা ছিল ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
হোবার্টে টস হেরে আগে ব্যাটে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর একে একে উইকেট আসেন আর যান। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ সর্বোচ্চ ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া অভিষিক্ত জো মেনি করেন ১০ রান। সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ ২৮ রান যোগ করেন তারা। এই দু’জন ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আর কারও রান দুই অংকের কোঠা স্পর্শ করেনি।
হোবার্টে এমন লজ্জা পাওয়ার পর সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকেও কিছুটা চাপে ফেলেছে অজিরা। ৭৬ রানে প্রোটিয়াদের ৪ উইকটে তুলে নেয় স্বাগতিকরা। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯২ রান। হাশিম আমলা ৩২ রানে অপরাজিত।
১২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর