স্পোর্টস ডেস্ক: চিটাগং ভাইকিংসের ১৯০ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ১৭১ রানেই শেষ হয়ে যায় রাজশাহী কিংস। আর এতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন পেসার তাসকিন। ৪ ওভার বল করে ৩১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন এই তরুণ স্পিডস্টার।
শুক্রবার চট্টগামের শহীদ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাট করে রাজশাহীকে ১৯১ রানের টার্গেট দেয় চিটাগাং। জবাবে ব্যাট করতে তাসকিন তোপে উড়ে যায় রাজশাহী কিংস।
রাজশাহী কিংসের দুই ওপেনার মমিনুল হক এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী। দুজনে মিলে ২৬ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। ১৪ বলে ৪টি চারে ২২ রান করা মমিনুল তাসকিন আহমেদের বলে জহুরুল ইসলামের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে এই জুটি।
এরপর ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। সাব্বির-জুনায়েদ জুটি না জমতেই ইলিয়টের বলে মোহাম্মদ নবির হাতে ধরা পড়েন জুনায়েদ। এর আগে তিনি ২৮ বলে ১চার এবং ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করেন।
সাব্বির মাঝারি গতিতে খেলে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন উমর আকমল। তাসকিন আহমেদের বলে ডোয়াইন স্মিথের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি ১২ বলে ২ চার এবং ১ ছক্কায় করেন ২১ রান। জিততে হলে রাজশাহীর দরকার তখনো ৮৯ রান।
কিন্তু সাব্বির তো আছেন। রাজশাহী তাই্ নিশ্চিন্ত। তবে এই নিশ্চিন্ত বেশিক্ষণ থাকা হলো না। কারণ ৩০ বলে গড়া সাব্বির রহমানের ৪৬ রানের ইনিংসটি ইমরানে খানের বলে তামিম ইকবালের হাতে শেষ হলো। ইনিংসটিতে তিনি ১ চার এবং ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এরপর সামিত প্যাটেলও ফিরে যান ৬ রান করে।
তখনও ভরসা হিসেবে উইকেটে ছিলেন ড্যারেন স্যামি। তিনিও আলাদা কিছু করে দেখাতে ব্যর্থ হলেন। ১৪ রান করে ইমরান খানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর আবারও মঞ্চে আবির্ভাব স্পিডস্টার তাসকিনের।
তরুণ পেসারের পরপর দুই বলে বিদায় নেন শ্রীবর্ধনা (৪) এবং মেহেদী হাসান মিরাজ (২)। এরপর চিটাগংয়ের জন্য জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ ওভারে তাসকিনের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন ফরহাদ রেজা (৯)।
১৮ নভেম্বর,২০১৬/ এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস