স্পোর্টস ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনায় পুরো দলটাকেই চিরতরে হারিয়ে বসেছে শাপেকোয়েনস। এই শোক কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব। পুরো শাপেকো শহরটিই থমকে গেছে, শোকস্তব্ধ এখনো শাপেকোবাসী। শহরে এখন আর কেউ স্টেরিও ছেড়ে গান শুনছে না। যে অলিগলি এত দিন ছোট ছেলেমেয়েদের কলকাকলিতে মুখর থাকত, ফুটবল পায়ে ছুটত ভবিষ্যতের সব তারকা, সেগুলো সব সুনসান।
তবে এই শোক সয়েও বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে ক্লাবটিকে। লিগে এখনো একটি ম্যাচ বাকি, অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে। সে ম্যাচ খেলার জন্য ১১ জন খেলোয়াড়ও নেই বলে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন ক্লাবের সভাপতি ইভান তোজ্জো। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য ম্যাচটি খেলতে বলছে ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন। উপায়টাও বাতলে দিয়েছেন এফএ সভাপতি মার্কো পোলো দেল নিরো, বয়সভিত্তিক দলগুলো থেকে খেলোয়াড় নিয়েই হোক ম্যাচটি, ‘ম্যাচের ফল যা-ই হোক, তাতে কিছু যায় আসে না। এ ম্যাচ দিয়ে আমরা উদ্যাপন করব, যেটা তোমাদের (শাপেকোয়েনস) প্রাপ্য, শাপেকোর প্রাপ্য, ব্রাজিলের প্রাপ্য।’ মিনেইরো অবশ্য ম্যাচটি এমনিতেই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে। তবে শুধু এ ম্যাচটির জন্য ব্রাজিলের অন্য ক্লাবগুলো খেলোয়াড় দিতে চাইছে শাপেকোয়েনসকে। আগামী মৌসুমের জন্যও সেই প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে।
শুধু ক্লাব নয়, খেলোয়াড়েরাও এই সংকটে পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন। অবসর ভেঙে শাপেকোয়েনসে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা হুয়ান রোমান রিকেলমে ও ব্রাজিলের রোনালদিনহো। রোনির ভাই রবার্তো জানিয়েছেন, ‘এখন অনেক কঠিন একটা সময়। তবে পরে যখন সময় হবে, চুক্তির বিষয় আসবে তখন কথা হবে। আপাতত এটাই বলি, আমরা সাহায্য করতে চাই। এই দলের জন্য একদম সঠিক ব্যক্তি সে।’
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যা বেরিয়ে আসছে, সেটা বিস্ময়কর। বিমানটির চালকের শেষ বার্তায় জানা গেছে, ফুরিয়ে গিয়েছিল জ্বালানি। আকাশপথে ২০০ দুর্ঘটনার একটা হতে পারে এমন কারণে! জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সর্বশেষ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি ১৯৯০ সালে। ঘটনাচক্রে নিউইয়র্কের কাছে বিধ্বস্ত সে বিমানের যাত্রা শুরু হয়েছিল মেডেলিনে!
বলিভিয়া সরকার এ দুর্ঘটনার জন্য লামিয়া এয়ারলাইনসকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং লামিয়ার সব কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এএফপি, রয়টার্স, ডেইলি মেইল।
৩ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর