স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টি (বিপিএল) মাঠে গড়াবে ২২শে নভেম্বর। এর আগে জমকালো হবে উদ্বোধন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে দেশী-বিদেশী ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা। ২৬শে অক্টোবর নিলাম নয়, প্লেয়ার বাই চয়েসের (লটারি) মাধ্যমে ৬টি দল ক্রিকেটারদের দলে টানবে। তবে তালিকার বাইরেও বেশ কয়েকজন বিদেশী ক্রিকেটার থাকছে দলগুলোতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিজ্ঞাপনখ্যাত ক্রিস গেইলকে এরই মধ্যে দলে টেনেছে বরিশাল বুলস। এছাড়াও পাকিস্তান জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক শহীদ অফ্রিদি খেলবেন সিলেটে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা খেলবেন ঢাকায়। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসমান ক্রিস গেইলকে নিশ্চিত করেছে বরিশাল।
এর আগেও বরিশালেই খেলেছেন গেইল। কুমার সাঙ্গাকারাকে নিশ্চিত করেছে ঢাকা। শহীদ আফ্রিদিকে দলে ভিড়িয়েছে সিলেট। আফ্রিদি এর আগে খেলেছেন ঢাকার হয়ে। আফ্রিদির সতীর্থ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামে খেলবেন তিলকারত্নে দিলশান। দিলশানের লঙ্কান সতীর্থ অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা খেলবেন রংপুর রাইডার্সে।’ তবে এখন চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ না করলেও বিপিএল তৃতীয় আসরের ফাইনাল মাঠে গড়াবে ১৫ই ডিসেম্বর।
এছাড়াও ২৬শে অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’-এর মধ্যমে বিসিবি’র তালিকাতে থাকা ক্রিকেটারদের দলে টানবে দলগুলো। ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’-এর বাইরে ক্রিকেটারদের দলে নেয়ার সুযোগ দেয়ার কারণ জানালেন বিপিএল’র সদস্য সচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এ সুযোগটা দিতেই হতো। আফ্রিদি, গেইল, মালিকের মতো ক্রিকেটাররা ৭০ হাজার ডলারে আসতে চাইত না।
এটা নিয়ে আমরা অনেকবার কথা বলেছি। সভা করে ঠিক করেছি। ৪-৫ জন ক্রিকেটারকে ৭০ হাজারের বেশিতে নিতে হয়েছে। টুর্নামেন্টের স্বার্থে নিতেই হতো।’ তবে বেঁধে দেয়া অর্থ সীমার বেশি নিয়ে যে সব ক্রিকেটার খেলতে আসবে তার বাড়তি টাকার দায়িত্ব নিবে না বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও সিবিবি।
আর নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেন বেশি টাকায় ক্রিকেটার নিচ্ছে দলগুলো তার জবাবে ইসমাঈল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘দেখুন, এই ক্রিকেটাররা আমাদের তালিকায় থাকলে ৭০ হাজারের বেশি পেতো না। কিন্তু ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি যখন ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবে, তখন তার দাম বাড়বেই! গেইলকে নিতে যেমন ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগাযোগ করেছে। সে তো বেশি চাইবেই।
তবে দলগুলো সরাসরি ক্রিকেটারদের নিলে ৭০ হাজার ডলারের বেশি কারও পারিশ্রমিকের দায়িত্ব আমরা নেবো না। ধরুন, কোন ক্রিকেটার ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারে রাজি হলো। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা এলে আমরা একটা ফর্ম ক্রিকেটারদের দিয়ে দেবো। খেলার আগে তাতে সই করতে হবে ওদের যে ৭০ হাজার ডলারের বেশি যা থাকবে, সেটার দায়িত্ব বোর্ড নেবে না।
এছাড়াও ট্যাক্স দেয়ার জন্য ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি পত্র প্রকাশ করতে হবে বলেও জানান বিপিলের সদস্য সচিব। তিনি বলেন, ‘চুক্তির অঙ্ক অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। না হলে ট্যাক্স কিভাবে হবে। চুক্তিপত্র বোর্ডে জমা দিতে হবে। বোর্ড চাইলে অঙ্কটা সবাইকে জানাতেও পারে, নাও জানাতে পারে। তবে একটা কপি এনবিআর-এ পাঠাতে হবে। সবাই এমনিতেও জানবে।’
তবে দলগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট টাকার অঙ্কও নির্ধারণ করে দিয়েছে বিসিবি। যাতে কোন দল নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে বেশি খরচ করতে না পারে। এ বিষয়ে মল্লিক বলেন, ‘দলগুলির খরচ কোনোমতেই ৭ কোটি টাকার বেশি হবে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আমরা বলে দিয়েছি যে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৬ কোটি টাকা খরচ করতে। ৭০ হাজারের বেশি পাওয়ার মতো ক্রিকেটার প্রতি দলে হয়ত একজনই থাকবে। বাকি ক্রিকেটারদের তো তার কমেও নেবে। কোন দল যদি ৭০ হাজারের বেশিতে ৩ জন ক্রিকেটার নেয়, তাহলে তারা অন্য প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে কম খরচ করবে।’-এম জমিন
১৫ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর