স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আগের দিনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল হার। শেষ দিনে আর কোনো চমক দেখাতে পারেননি জাকের আলী অনিক। এদিন অবশ্য অলআউট না হয়েও হার মেনে নিলো বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে অ্যান্টিগায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) লাল সবুজদের ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৩৪ রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে হার মেনে নেয় টাইগাররা। কারণ শেষদিকে চোটে পড়ায় পেসার শরিফুল ইসলামের পক্ষে ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ম্যাচ জিতে ২৮ মাস পর ঘরের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতল উইন্ডিজ। ২০২২ সালের জুলাইয়ে সবশেষ জয়টাও ছিল টাইগারদের বিপক্ষে। অ্যান্টিগায় বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগের দিনই ১০৯ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কেমার রোচ আর জেইডন সিলসের দাপটে ক্রিজেই দাঁড়াতে পারেনি টাইগারদের টপ অর্ডার। মাহমুদুল হাসান জয় ১০ বলে ৬, জাকির হাসান ৪ বলে ০ আর মুমিনুল হক ৩৬ বল খেলে ১১ রান করে আউট হন। ২২ বলে ৪ রানে আউট হয়ে আরেকবার ব্যর্থতার পরিচয় দেন শাহাদাত হোসেন দিপু।
কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটন ১৮ বলে ২২ আর মিরাজ ৪৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। দিনের শেষদিকে ৯ বলে ৪ রান করা তাইজুলকে বোল্ড করেন সিলস। চতুর্থ দিন শেষে জাকের ১৫ আর হাসান মাহমুদ ০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পঞ্চম দিনে মাঠে নেমে ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি হাসান। আগের দিনের ৬ বলের সঙ্গে এদিন আরও ৬ বল মোকাবিলা করলেও কোনো রান না করেই বিদায় নেন তিনি। আর ব্যক্তিগত ৩১ রানে আলজারি জোসেফের বলে এলবিডব্লিউ হন জাকের। এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে শরিফুল ইসলাম আসলেও তিনি খেলতে পারেননি। ৪ বল খেলার পর কাঁধের চোটে বাধ্য হয়ে তাকে রিটায়ার্ড হার্ট হতে হয়। উপরে আর কোনো উইকেট না থাকায় থামতে হয় বাংলাদেশকে। ১১ বলে ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন। উইন্ডিজের পক্ষে সমান ৩টি করে উইকেট নেন রোচ ও সিলস।
এর আগে তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫২ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৬৪ রান খরচায় একাই ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার। তবে প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের ৪৫০ রানের বিপরীতে মাত্র ২৬৯ রান, আগেভাগেই বাংলাদেশকে লড়াই থেকে ছিটকে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাই ২০১ রানের হারে সিরিজ শুরু করতে হলো মিরাজ বাহিনীকে। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ নভেম্বর কিংস্টনে।