শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৫:১০:৪০

একজন ‘সেঞ্চুরিয়ান’ আমলার গল্প

একজন ‘সেঞ্চুরিয়ান’ আমলার গল্প

সঞ্জয় পার্থ: জোহানেসবার্গ টেস্টে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন হাশিম আমলা। জ্যাক ক্যালিস (১৬৫ টেস্ট), মার্ক বাউচার (১৪৬ টেস্ট), গ্রায়েম স্মিথ (১১৬ টেস্ট), শন পোলক (১০৮ টেস্ট), এবি ডি ভিলিয়ার্স (১০৬ টেস্ট), গ্যারি কার্স্টেন (১০১ টেস্ট) ও মাখায়া এনটিনির (১০১ টেস্ট) পর অষ্ঠম প্রোটিয়া হিসেবে শততম টেস্টের মাইলফলক পেরোলেন আমলা।

 অবশ্য ইতিহাসের অংশ কি এরই মধ্যে হয়ে যাননি তিনি? ক্যারিয়ারের শুরুতে কোটা প্লেয়ারের তকমা পাওয়া আমলা এরই মধ্যে অন্য অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের চেয়ে নিজেকে অনন্য, অসাধারণ প্রমাণ করেছেন। প্রচণ্ডভাবে ধর্ম অনুসরণ করে চলা আমলার এই ‘সেঞ্চুরিয়ান’ হয়ে ওঠার পথ তাই এতটা মসৃণ নয়।

পথে বিছানো ছিল কাঁটা, আমলা সেগুলোকে ফুলে পরিণত করেছেন। হার না মানা এই ক্লাসিক ব্যাটসম্যানটির গোটা ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে তাই ছয় ভাগে ভাগ করেছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। যেই ক্যারিয়ারে আছে হার না মানার অদম্য গল্পের কথা, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম অমর করে রাখা কীর্তির কথা।

শুরুর গল্প

হাশিম আমলা যখন প্রথম হিল্টন অকারম্যানের (তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকান অনূর্ধ্ব ১৯ দল ও একাডেমি কোচ) কাছে এলেন, তাঁকে দেখে প্রথাগত দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান মনে হয়নি। ডারবান হাই স্কুলের হয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে তবেই তিনি এই পর্যায়ে এসেছেন, তারপরেও কোথাও যেন তাঁকে নিয়ে একটা সন্দেহ থেকে গিয়েছিল। ব্যাকলিফটটাও কেমন যেন অদ্ভুত, ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটের ব্লেড থাকে গালির দিকে মুখ করা। তাঁর ফিল্ডিংটাও ঠিক দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্যান্ডার্ডের নয়।

অকারম্যান কিন্তু নিজের এই ‘ব্যতিক্রমী’ ছাত্রের প্রতি স্নেহের হাত বাড়িয়ে দিলেন না, বরং আমলাকে ফেলতে লাগলেন কঠিন সব পরীক্ষার সামনে। সেই সময়ের দিনগুলোর কথা মনে করতে গিয়ে আমলার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ সতীর্থ রায়ান ম্যাকলারেন বলেছিলেন, ‘হিল্টন হ্যাশ (হাশিম) এর প্রতি কিছুটা কঠোর ছিলেন।

    অবশ্য শুধু হ্যাশের প্রতিই নয়, হিল্টন মানুষটাই ছিলেন এমন। তবে আমার মনে হয় হিল্টন হ্যাশের প্রতিভা সম্পর্কে আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, সে যাতে তাঁর প্রতিভার পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করে, সেজন্যই হয়তো হিল্টন অমন কঠোর হয়েছিলেন।’

‘হ্যাশ যেটা করত, হিল্টনের প্রতিটা কথা একেবারে গিলে ফেলত। এতটাই মনযোগী ছিল ও। আসলে ওই সময়ে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের জন্য হিল্টনই ছিলেন সেরা ব্যাটিং কোচ। হ্যাশ এই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে।’

অকারম্যান কিন্তু ঠিকই আমলার ভেতরের ব্যাটসম্যানশিপটাকে পড়তে পেরেছিলেন। দলের সেরা ব্যাটিং অস্ত্রটাকে বানালেন দলের অধিনায়ক, আমলাও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত।

অকারম্যান আমলাকে সাউথ আফ্রিকার ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে দেখেছিলেন। অকারম্যানের কথাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক হওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় আমলার গায়ে উঠল গর্বের সাদা জার্সি।

প্রথম তিন টেস্ট

কোন অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সে কোথায় তাঁর অভিষেক টেস্টটা খেলতে আগ্রহী, নিশ্চিতভাবেই সে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের নাম নেবে না। কিন্তু ২০০৪ সালের নভেম্বরে ২১ বছরের আমলা নিজেকে অভিষেক টেস্টে সেই ইডেনেই আবিস্কার করলেন।

অন্তর্বর্তী কোচ রে জেনিংস বাউচারকে দলে জায়গা দিলেন না, গিবস আর বোয়ে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে দলের বাইরে। দলের এমন ভঙ্গুর অবস্থায় অ্যান্ড্রু হল আর মার্টিন ফন জার্সভেল্ডকে পাঠানো হল ওপেনিংয়ে। জার্সভেল্ড প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ মেলে আমলার।

 পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুই ইনিংসে আমলা করলেন ২৪ আর দুই, দক্ষিণ আফ্রিকাও ম্যাচ হারল আট উইকেটে। আমলা সুযোগ পেলেন আরেকটা টেস্টে, এবার দুই ইনিংস মিলিয়ে করলেন ১০ রান। চার ইনিংসে মোটে ৩৬ রান, ফলস্বরূপ দল থেকে বাদ পরলেন। কারণ হিসেবে বলা হল, তাঁর টেকনিক দুর্বল, আর এই দুর্বল টেকনিক নিয়ে টেস্ট লেভেলে টিকে থাকা যাবে না।

জেনিংস এরপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কেউই টেস্ট ক্রিকেটে আদর্শ টেকনিক নিয়ে খেলতে নামে না। বাকিদের মত শুরুর সময়ে হ্যাশেরও কিছু ত্রুটি ছিল, কিন্তু এই পর্যায়ের ক্রিকেটে খাপ খাইয়ে নেয়ার মত যথেষ্ট মানসিক দৃঢ়তা হ্যাশের ছিল। সে দর্শক ও মিডিয়ার চাপটা অনুভব করেছিল, এবং ফিরে এসে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল। এটাই ভাল খেলোয়াড়ের লক্ষণ।’

আমলা ফিরে গেলেন তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দল ডলফিনসে, কাজ করলেন কোচ ফিল রাসেলের সাথে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখলেন, রানের পর রান করলেন, আবারো জাতীয় দলে ফিরলেন।  

দ্য কামব্যাক

২০০৬ এর এপ্রিলে যখন কামব্যাক করলেন আমলা, দক্ষিণ আফ্রিকা ততদিনে মোটামুটি একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল পেয়ে গেছে। মিকি আর্থার দলের দায়িত্ব নিয়েছেন, স্মিথ এবং ক্যালিস তখনো দলের ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা। সাথে যোগ হয়েছেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স আর ডি ভিলিয়ার্সের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণেরা। তারপরেও পত্রিকার হেডলাইন এরা কেউ নন, হলেন হাশিম আমলা, নিউল্যান্ডসের রান উৎসবের মধ্যে ১৪৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে।    

 ওই ম্যাচের পর আমলার সাথে সেঞ্চুরি জুটি গড়া প্রিন্স বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়না সে টেকনিকে খুব বেশি অদল-বদল এনেছিল। সবাই তাঁর টেকনিকে অনেক ত্রুটি খুঁজে বেরাচ্ছিল, কিন্তু হাশিম নিজের উপর আস্থা রেখেছিল।’

কিন্তু, এক ইনিংসে রান করেই যে আমলা ড্রেসিংরুমে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এমনটা না। স্মিথ, ক্যালিসদের মত সুপারস্টারদের সাথে মানিয়ে নিতে বেশ সময় লেগেছিল তাঁর। তখনো তো তিনি জানতেন না, একদিন স্মিথ-ক্যালিসদের কাতারেই উচ্চারিত হবে তাঁর নাম, অন্তত সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটে!

২০১০ সালের ভারত সফর

যেখানে শুরু, সেই ভারতেই আবার চার বছর পর ফিরলেন হাশিম আমলা। নাগপুরে প্রথম টেস্টের প্রথম সকালে যখন ছয় রানেই দুই উইকেট নেই সফরকারীদের, মনে হচ্ছিল আরও একবার দুঃস্বপ্ন নিয়েই সিরিজ শুরু করতে হবে প্রোটিয়াদের।

কিন্তু এরপর সারাদিন ধরে যা চলল, তার জন্য নিশ্চিতভাবেই প্রস্তুত ছিলনা ভারতীয়রা। ক্যালিস আর আমলা মিলে গড়লেন ৩৪০ রানের জুটি, প্রথম দিন শেষেও অবিচ্ছিন্ন এই জুটি। দ্বিতীয় দিন সকালে ১৭৩ রান করে ক্যালিস বিদায় নিলে ভাঙ্গে এই ম্যারাথন জুটি। কিন্তু আমলা থামেননি।

 ১১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে ক্রিজে থেকে খেললেন ২৫৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। প্রায় সোয়া ১১ ঘণ্টা পরেও কিন্তু আমলাকে আউট করতে পারেনি ভারতীয় বোলারেরা, স্মিথ ডিক্লেয়ার করে না দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ক্যালিসের করা সর্বোচ্চ ২৭৩ রানও হয়তো ভেঙ্গে দিতেন সেদিন। প্রিন্সের মতে এই ইনিংসটাই ঠিক করে দিয়েছিল ভবিষ্যৎ সুপারস্টার আমলার গতিপথ।  

টেস্টটা দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল। এরপরের টেস্ট কলকাতায়, যেখানে অভিষেক আমলার। মনে মনে কিছু ঠিক করে রেখেছিলেন কি না কে জানে, তবে অভিষেকের দুঃস্মৃতি এর চেয়ে আর ভালভাবে কাটাতে পারতেন না তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ব্যাট করে করলেন ১১৪ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে আবারো দেখা মিলল প্রথম টেস্টের আমলার, ৮ ঘণ্টা ২০ মিনিট ব্যাট করে খেললেন অপরাজিত ১২৩ রানের এক ইনিংস। সিরিজের দুই টেস্টে মোট ২৩ ঘণ্টা ২২ মিনিট ব্যাট করেছিলেন আমলা! আর আউট হয়েছিলেন মাত্র এক বার। ওই সিরিজ দিয়েই মূলত বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার জন্ম।

লর্ডসে অপরাজিত ৩১১

২০১০ এ আমলার কাছ থেকে একটা সুযোগ কেড়ে নিয়েছিলেন অধিনায়ক স্মিথ, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসের মালিক হওয়ার সুযোগ। কিন্তু ২০১২তে এসে আর আমলাকে আটকানো গেল না। জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রড তখন আগুন ঝরাচ্ছেন, বিরুদ্ধ সেই কন্ডিশনকেই আমলা বেছে নিলেন ইতিহাস গড়ার জন্য। ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ক্রিজে থেকে সাউথ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন, ইংলিশ বোলারেরা আউট করতে পারেননি তাঁকে, অপরাজিত ছিলেন ৩১১ রান করে।

আমলার ইনিংসের গুরুত্ব বহুগুণে বেড়ে যাবে যখন জানবেন, ১৩ ঘণ্টা উইকেটে থেকেও এক ফোঁটা পানিও পান করেননি আমলা! রমজান মাস চলছিল, ধর্মপ্রাণ মুসলিম আমলা রোজা রেখেই খেলেছিলেন অসাধারণ এই ইনিংস। নিজের জার্সিতে কখনো স্পন্সরের নাম ব্যবহার করেননি সেটা মদের কোম্পানি বলে, আধুনিক ক্রিকেটে এমন ধর্মপ্রাণ ক্রিকেটার আর কজনই বা আছেন!

অধিনায়কত্ব

প্রোটিয়াদের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা অধিনায়ক মানা হয় গ্রায়েম স্মিথকে। মাঠে দারুণ প্রাণোচ্ছ্বল এই চরিত্র যখন ২০১৪ তে অবসর নিলেন, তখন স্মিথের যোগ্য উত্তরসূরি কে হবেন সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু হল। এগিয়ে এলেন হাশিম আমলা, কিন্তু সবার মনে শঙ্কা, এরকম অন্তর্মুখী একজন মানুষ কি পারবেন দলকে নেতৃত্ব দিতে?

 আমলা পেরেছেন কি পারেননি সেই তর্কে যাওয়া অবান্তর, আমলা নিজেই যে পর্যাপ্ত সময় নেননি সফল অধিনায়ক হওয়ার জন্য। মাত্র ১৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে হার-জিত সমান চায় টি করে, আর ড্র ছয় টি। তারপরেও দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ড ভরসা রেখেছিলেন আমলার উপর, কিন্তু আমলা নিজেই ছেড়ে দেন অধিনায়কত্ব। কারণ হিসেবে বলেছিলেন নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দিতে চান।

অথচ অধিনায়ক থাকা অবস্থায় ১৪ ম্যাচে ৪৯.৬৬ গড়ে রান করেছেন! অধিনায়ক হিসেবে খেলা সর্বশেষ ইনিংসেই করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি! তারপরেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না, এখানেই ব্যাটসম্যান আমলার মাহাত্ম্য। আত্মতুষ্টিতে ভোগেননি কখনো, সবসময় নিজের ব্যাটিংয়ে উন্নতি আনতে চেয়েছেন। ধারাবাহিক পরিশ্রম আর চেষ্টার দ্বারাই হয়ে উঠেছেন আজকের হাশিম আমলা, ক্রিকেট বিশ্বে যিনি এখন ধারাবাহিকতার অপর নাম।

নিজের শততম টেস্টটা সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রেখেছেন হাশিম আমলা। ক্রিকেটের ইতিহাসে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের শততম টেস্টে এই কীর্তি গড়লেন ৩৩ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটসম্যান।

এর আগে মাত্র একজন দক্ষিণ আফ্রিকানই শততম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। তিনি হলেন সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্টে তিনি করেছিলেন ১৩১ রান।

 শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন একজনই। তিনি অস্ট্রলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শততম টেস্টের দুই ইনিংসে তিনি করেছিলেন যথাক্রমে ১২০ ও ১৪৩* রান।

এই তালিকায় থাকা বাকি পাঁচজন হলেন কলিন কাউড্রে (ইংল্যান্ড, ১৯৬৮), জাভেদ মিঁয়াদাদ (পাকিস্তান, ১৯৮৯), গর্ডন গ্রিনিজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৯০), অ্যালেক স্টুয়ার্ট (ইংল্যান্ড, ২০০০), ইনজামাম উল হক (পাকিস্তান, ২০০৫)।

হাশিম আমলা চাইলে রিকি পন্টিংয়ে ছুঁয়ে ফেলতে পারেন। সেজন্য দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য অপেক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই!-খেলাধুলা
১৪ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে