স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট কি ফুটবল সব জায়গাতেই জুড়ে বসেছে ম্যাচ ফিক্সিং। এই নোংরা জালে আটকা পড়ে অনেক খেলোয়াড়েরই জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। তবুও খেলোয়াড়রা কেন জানি ওই জালেই নিজেদের জড়িয়ে ফেলছেন। সর্বশেষ এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন নেপালের পাঁচ ফুটবলার। এর মধ্যে তিনজন রয়েছে যারা বর্তমান জাতীয় দলের ফুটবলার, বাকি দুজন সাবেক। চোখ কপালে উঠতে পারে পরের তথ্যে, এদের মধ্যে দুজনই নেপালের বর্তমান টিমের অধিনায়ক সাগর থাপা ও সহ-অধিনায়ক সন্দীপ রাই। বুধবার কাঠমান্ডুতে তাদের আটক করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
২০০৮ সালের একটি ম্যাচ গড়াপেটার অপরাধে মূলত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ ফুটবলার হলেন, সাগর থাপা (অধিনায়ক), সন্দীপ রাই (সহ-অধিনায়ক), রীতেশ থাপা (গোলরক্ষক), বিকাশ কিং ছেত্রী এবং অঞ্জন কেসি।
নেপাল ফুটবলে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি সামনে আসে গত বছর। যখন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার পক্ষ থেকে সভাপতি গণেশ থাপ্পার সময়কার অর্থনৈতিক অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়। যিনি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনেরও (এএফসির) ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখন আস্তে আস্তে বের হয়ে আসছে অনেককিছুই।
এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের এসএসপি সর্বেন্দ্র খানাল জানান, ‘প্লেয়ারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রাথমিক তদন্তের পর দেখা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় যে ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছিল তার সঙ্গে এদের লিংক রয়েছে। জুয়াড়িদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের গভীর যোগযোগও ছিল।’
তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কোনও কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত আছেন কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে এমন খবরে বিস্মিত অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ইন্দ্রমান তুলাধর ও ম্যানেজার রামেশ রাইমাঝি ফুটবলারদের গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি এমন খবরে। আমরা দ্রুতই তদন্তের ব্যবস্থা করছি’।
১৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ