শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের পর হেরাথের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে করা ৪৮৪ রানের জবাবে খেলতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ রঙ্গনা হেরাথের বাঁহাতি স্পিন আঘাতে মাত্র ২৫১ রানেই গুটিয়ে গেছে। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ফলো অনে পড়েছে জ্যাসন হোল্ডারের দল।
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে আর ১৮৫ রানই তুলতে পারে তারা। ৪৮৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কার চেয়ে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান পিছিয়ে সফরকারী দল।
অতিথিদের অল্প রানে বেঁধে ফেলতে ৬৮ রান খরচায় একাই ৬ উইকেট তুলে নেন হেরাথ।
শুক্রবার দিনের শুরুতেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনের করা ৭ রানের সঙ্গে আর ৪ রান যোগ করে হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
স্যামুয়েলস ফিরলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা হয়ে উইকেটে ছিলেন ড্যারেন ব্র্যাভো। তবে অর্ধশতক করে হেরাথের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১০৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি ৮টি চার ও একটি ছয়ে সাজান ব্র্যাভো।
এর আগে বৃহস্পতিবার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে করে শ্রীলঙ্কা। আগের দিনের ১৪৯ রানের জুটিকে এদিন ২৩৮ পর্যন্ত এগিয়ে নেন করুনারত্নে ও চান্দিমাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে এটাই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জুটি। ২০০১ সালে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার ১৬২ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ।
তৃতীয় শতকটিকে প্রথম দ্বিশতকে পরিণত করার পথেই ছিলেন ১৩৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান করুনারত্নে। কিন্তু প্রথম সেশনের শেষ দিকে মারলন স্যামুয়েলসকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
৩৫৬ বলে খেলা করুনারত্নের ক্যারিয়ার সেরা ১৮৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ১৬টি চার ও একটি ছক্কায়।
৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা চান্দিমাল পঞ্চম শতকে পৌছান প্রথম সেশনেই। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাথিউসের সঙ্গে গড়েন ৮৬ রানের আরেকটি ভালো জুটি।
আগের দিন জীবন দেওয়া জেরোম টেইলরই ফেরান চান্দিমালকে। ১১ রানে জীবন পাওয়া শ্রীলঙ্কার এই তরুণ অবশ্য তার আগে যোগ করেন আরও ১৪০ রান। ২৯৮ বলে খেলা তার ১৫১ রানের ইনিংসটি ১৬টি চার ও দুটি ছক্কা সমৃদ্ধ।
চান্দিমালের বিদায়ের পরই দিক হারায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। স্বাগতিকদের শেষ ৬ উইকেটের পতন হয় ৫৯ রানে। এক সময়ে ৪ উইকেটে ৪২৫ রানে পৌঁছে যাওয়া দলটি তাই পাঁচশ’ রানে পৌঁছাতে পারেনি।
১৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
�