শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০৯:১১:৩০

জেলখানার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বললেন শ্রীশান্ত

জেলখানার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বললেন শ্রীশান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলে স্পট-ফিক্সিংয়ের দায়ে জেল খেটেছেন শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত। দুই বছর বয়ে বেড়িয়েছেন সে কালিমা। আদালতের রায়ে এখন নিষ্পাপ প্রমাণিত হলেও সেই স্মৃতি কি আর চাইলেই ভুলতে পারছেন! সে ঘটনার আগে পরের স্মৃতিগুলোও তো কম দাগ কাটেনি ভারতীয় এই পেসারের মনে। এখন সেসব স্মৃতি হাতড়াতে গিয়েই জানালেন, তাঁর সঙ্গে পুলিশ ঠিক জঙ্গির মতো আচরণ করেছে!


রাজস্থান রয়্যালের দুই সতীর্থ অজিত চান্দিলা ও অঙ্কিত চাভানের সঙ্গে ২০১৩ সালে আইপিএল চলাকালীন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শ্রীশান্তকে। পুলিশ জানিয়েছিল, মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়া শ্রীশান্ত ভেবেছিলেন সে কারণেই তাঁকে ধরা হয়েছিল সেদিন। কিন্তু সম্প্রতি ডেনিস ফ্রিডম্যানের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার, ‘সেদিন কোনোভাবেই মাতাল ছিলাম না। আমি তখন চোট কাটিয়ে ওঠার লড়াইয়ে ছিলাম।

পুলিশ পুরো গল্পটা বানিয়েছে। তাদের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল না। এটাকে তাই পুলিশ দ্বারা অপহরণও বলা যায়। আমাকে বলা হলো দিল্লিতে প্রশ্ন করার জন্য নিচ্ছে, বেটিংয়ের প্রসঙ্গও তোলেনি।

তাঁকে নাকি উল্টো তদন্তকাজে সহযোগিতার কথা বলেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, ‘তারা বলেছিল কয়েকজনের ব্যাপারে কিছু তথ্য আছে তাদের কাছে। সে বিষয়টা পরিষ্কার হতেই আমার সাহায্য প্রয়োজন। এটা কোনো স্বাভাবিক গ্রেপ্তার ছিল না।

ব্যাপারটা যে উল্টো সেটা বুঝতে পারেন দিল্লিতে গিয়েই। সাজ সাজ রব, ভাবগম্ভীর আবহাওয়া, কমান্ডোতে এলাকা ভারী দেখেই শ্রীশান্ত ‘অন্য কিছুর গন্ধ’ পান, ‘দিল্লিতে যাওয়ার পরই বুঝলাম পরিস্থিতি কতটা খারাপ।

যখন নামলাম, যদি মাতাল হতাম তাহলে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতাম না। আমার মোবাইল যে আমার থেকে নিয়ে নেওয়া হলো সেটা বুঝতেই পারিনি। আমার আশপাশে প্রায় ৬০-৭০ জন কমান্ডো ছিল। আমাকে বুলেট-প্রুফ গাড়িতে তোলা হলো। এমন আচরণ করা হচ্ছিল যেন আমি একজন জঙ্গি।

এরপর তো জেলেও যেতে হলো তাঁকে। একজন ক্রিকেটারের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা! প্রায় এক মাস সাধারণ কয়েদির মতো জেলে থাকতে হয়েছে শ্রীশান্তকে, ‘১২ দিন পর আমাকে তিহার জেলে পাঠানো হলো।
৪৫০ জন অপরাধীর সঙ্গে এক ডরমিটরিতে রাখা হয়েছে। ২৭ দিন জেলে ছিলাম, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। তাঁরা মানি লন্ডারিং এবং ইব্রাহিম দাউদের প্রসঙ্গও তুলেছিল। কিন্তু আমার বিপক্ষে কিছুই পায়নি তারা, ২৭তম দিনে জামিন পেয়েছি আমি।

উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে দুই বছর পর বাকি দুই সতীর্থের সঙ্গে দায়মুক্তি হয়েছে শ্রীশান্তের। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতা মনে হয় না এত দ্রুত কাটাতে পারছেন।-জি নিউজ।
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে