মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ১০:৪৮:৩৪

ভারতের আইপিএল নিলামে উঠেছিল টাইগার মাশরাফি-ঝড়!

ভারতের আইপিএল নিলামে উঠেছিল টাইগার মাশরাফি-ঝড়!

নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সাল থেকে আইপিএলের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।  কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে জিতেছেন দুটি আইপিএল শিরোপা।  ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে গিয়ে বাজিমাত করেছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও।  

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথমবারের মতো শিরোপাজয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ফিজের।  তবে তাঁদের আগে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে আলোড়ন তুলেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।  মাঠে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে নয় অবশ্য, মাশরাফিকে নিয়ে সেবার ঝড় উঠেছিল আইপিএলের নিলামে।

২০০৯ সালের আইপিএল নিলামে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে ছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ও কেভিন পিটারসেন।  ইংলিশ এই দুই ক্রিকেটারকে সে সময়ের রেকর্ড ১.৫৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে দলে ভিড়িয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও ব্যাঙ্গালোর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।  তবে তাঁদের ছাপিয়েও সেবার আলোচনায় চলে এসেছিলেন মাশরাফি।  ডানহাতি এই পেসারকে দলে ভেড়ানোর জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব নিলামের আসরে যে দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছিল, তা এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।

২০০৯ সালের আইপিএল নিলামে মাশরাফির ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ হাজার ডলার।  তাঁর নামটা উচ্চারিত হতেই হাত তুলেছিলেন কলকাতার অন্যতম মালিক জুহি চাওলা।  মঞ্চে আবির্ভাব ঘটেছিল আরেক বলিউড তারকা প্রীতি জিনতারও।  দুজন মিলে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়েছিলেন মাশরাফিকে দলে ভেড়ানোর জন্য।  শেষমেশ ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ১২ গুণ বেশি দাম দিয়ে তাঁকে কিনে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।  সেবার মাশরাফির দাম উঠেছিল ছয় লাখ ডলার।  আইপিএলের তৎকালীন পরিচালক ললিত মোদিও বেশ অবাক হয়েছিলেন ব্যাপারটিতে।  সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘সে খুবই প্রতিভাবান বোলার।  কিন্তু নিলামের সময় আমরা সবাই অবাক হয়েছি।  দারুণ একটা ব্যাপারই ঘটেছে। ’

ঘটনাটি মনে আছে আইপিএলের নিলাম পরিচালনাকারী রিচার্ড ম্যাডলিরও।  ব্রিটিশ এই ভদ্রলোক আইপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো নিলামেই উপস্থিত ছিলেন নিলামদার হিসেবে।  এ বছর আইপিএলের দশম আসরের নিলামের আগে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘১০ বছরের আইপিএল নিলামের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর দিকে তাকালে মনে পড়ে যায় কেভিন পিটারসেন আর ফ্রেডি ফ্লিনটফের ১.৪ মিলিয়ন ডলারের বিডগুলো।  বাংলাদেশের অচেনা অলরাউন্ডার মাশরাফি বিন মুর্তজার অবাক করে দেওয়া নিলামটির কথা।  যেটা শুরু হয়েছিল ৫০ হাজার ডলার থেকে।  আর শেষপর্যন্ত ঠেকেছিল ছয় লাখ ডলারে। ’

মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য আলো ছড়াতে পারেননি মাশরাফি।  নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ।  সেখানে ৪ ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৫৮ রান।  ২০০৯ সালের আইপিএলে খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলও।  নিলামে অবশ্য তাঁকে নিয়ে এত হৈচৈ হয়নি।  ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলার দিয়েই তাঁকে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।  মাশরাফির মতো আশরাফুলও খেলেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ।  করেছিলেন মাত্র দুই রান।

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের চারজন ক্রিকেটারের নাম উঠেছিল আইপিএল নিলামে।  এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।  কিন্তু কারো ব্যাপারেই কোনো আগ্রহ দেখায়নি আইপিএলের দলগুলো।  শেষপর্যন্ত অবিক্রীতই থেকে গেছেন তাঁরা।

সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে আগে থেকেই দলে রেখে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে