স্পোর্টস ডেস্ক: জাতীয় দলের মোটামুটি সবাই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ব্যস্ত। তবে, তাতে নেই পেসার তাসকিন আহমেদ । যদিও, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম করে নিজেকে ফিট রাখছেন এই তরুণ। এরই ফাঁকে মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের।
ফিটনেস কেমন এখন?
আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হচ্ছে। ফিট থাকা কঠিন একটা কাজ। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে অনেক বেশি চাপ পড়ে।
লঙ্গার ভার্সন বেশি খেলার অভ্যাস নেই। কিভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন?
শারীরিকভাবে ফিট থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মানসিক শক্তিটা। আমি তাই শারীরিকভাবে শক্ত থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্যও চেষ্টা করছি। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলছি। মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানসিকভাবে শক্ত থাকা।
টেস্টে নিজের পারপরম্যান্স কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
আসলে ব্যক্তিগতভাবে খুব খুশি না। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, দুঃখজনকভাবে তিনটা টেস্টই হেরেছি। আমি তিনটই খেলেছি। আশা করি সামনে সব কিছু ভালো হবে। আল্লাহ রহমত করলে ভালো কিছু। এমন প্রত্যাশা নিয়েই শ্রীলঙ্কা যাবো।
এখন দলে জায়গা পেতে তো পেসারদের প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়?
প্রতিযোগিতা থাকবেই। প্রতিযোগিতা যতো বেশি থাকবে বাংলাদেশের পেস বিভাগ ততো শক্ত হবে। কে খেলবে, কে খেলবে না, সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা চেষ্টা করছি, নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুযোগ পেলে আমরা আমাদের সেরাটা ঢেলে দিবো।
অনেক ওভার বোলিং করেছেন, নিজের কাছে কেমন মনে হয়েছে?
আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো মনে হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে আমি ৩০ ওভার, ৩৫ ওভার বোলিং করেছি। আগের চেয়ে ভালো না হলে এটা করতে পারতাম না। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। পেসাররা আসলে কখনোই শতভাগ ফিট থাকতে পারে না। কিছুটা ব্যথা-ট্যাথা থাকেই। কিভাবে সব মানিয়ে নিয়েই খেলতে হয়। আমাদের ভালো ট্রেনার আছে। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আশা করি, সামনে আরো বেশি বোলিং করতে পারবো।
শ্রীলঙ্কায় ইতিবাচক ফল কতোটা আশা করছেন?
শেষ কয়েকটি সিরিজের ভুলগুলো সামনে শোধরাতে চাই। সেটা পারলে, আশা করি শ্রীলঙ্কায় ভালো ফলাফল হবে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে শ্রীলঙ্কা ভালো কিছু করতে চাই।
শেষ দুইটা সিরিজ ইনজুরি ছাড়া খেলেছেন। এমন ফিট থাকতে আপনি বিশেষ কি করেছেন?
সত্যি কথা বলতে আমি খুব ভাগ্যবান। ইনজুরি জিনিসটা এমন, সিঁড়িতে হাঁটার সময়ও পা মচকে যেতে পারে। হ্যাঁ, আমি অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। তবে মূল ব্যাপার আল্লাহর রহমত। এটাই মূল ব্যাপার। এখন আমি ইনজুরি নিয়ে কমই চিন্তা করি। মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা জরুরি। এই ক্ষেত্রে মাশরাফি ভাই আমার পথপ্রদর্শক। তিনি এটা নিয়ে বেশি ভাবতে না করছেন। আমার সব কিছুতে মাশরাফি ভাই-ই আমার মেন্টর। আমার লাইফ স্টাইল, সব কিছুতে। টেস্টে মাশরাফি ভাইকে মিস করি। তিনি থাকলে ভালো হতো মাঠে অভিভাবক পেয়ে যেতাম।-খেলাধুলা
২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস