স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে মঙ্গলবারই বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার রেশ চলল পর দিনও। দুই অধিনায়কের পক্ষে মুখ খুলে এখন মুখোমুখি দুই দেশের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। প্রেস রিলিজ দিয়ে দুই সংস্থাই তাদের অধিনায়কের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়ে দিল।
মঙ্গলবার পোস্ট ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে বিরাট কোহলি স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, ডিআরএস নেওয়ার সময় তারা নিয়ম মানেননি। ড্রেসিংরুম থেকে সিগন্যালের অপেক্ষা করেছে। যেটা নিয়ম বহির্ভূত। মাঠেই প্রতিবাদ করেছিল ভারতীয় দল। তারপর জল অনেকদূর গড়িয়েছে। এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
বিসিসিআই-এর তরফে প্রেস রিলিজ দিয়ে বলা হয়েছে, ''বিরাট কোহলি একজন অভিজ্ঞ ও ধারাবাহিক ক্রিকেটার। মাঠের মধ্যে ওর দল পরিচালনা উদাহরণ হতে পারে। কোহলির মাঠের মধ্যের বক্তব্য আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার নাইজেল লং মেনে নিয়েছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্মিথকে সেই কাজ করা থেকে বিরত করেছিলেন।'' পুরো বিষয়টির ভিডিও দেখার পরই বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছে বিসিসিআই।
একইভাবে স্টিভ স্মিথের পাশে দাঁডিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। চিফ এক্সিকিউটিভ জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, ''আমি পুরো ঘটনার বিবরণ শুনেছি। যেখানে স্মিথকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্টিভ একজন অসাধারণ ক্রিকেটার ও মানুষ। অনেক ভবিষ্যত্ ক্রিকেটারের রোল মডেল তিনি। আমাদের ওর ওপর পুরো বিশ্বাস রয়েছে। ও এমন কোনও কাজ করবে না যেটা অনৈতিক।''
অস্ট্রেলিয়া কোচ ড্যারেন লেম্যানও পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ''এরকম কখনওই ঘটেনি। আমি এটা শুনে খুব অবাক হয়েছি। তবে এটা ওদের বক্তব্য। ওর (বিরাট) নিজস্ব মতামত রয়েছে আমারও। আমরা এরকম কিছু করিনি তাই ওই সবে মাথা না ঘামিয়ে পরবর্তি খেলা নিয়ে ভাবছি।''
ভারতের অবশ্য সাবেকরা এই বিষয়ে আইসিসির হস্তক্ষেপ চাইছে। সুনীল গাভাস্কার থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী দু'জনেই চাইছেন এই নিয়ে তদন্ত করুক আইসিসি। অন্যদিকে মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, ''আমি অস্ট্রেলিয়া দলের কাছ থেকে জানতে চাই, যদি এ ভাবে ওরা ডিআরএস ব্যবহার করে থাকে তাহলে সেটা গ্রহনযোগ্য নয়।''
০৮ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস