স্পোর্টস ডেস্ক: স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিততে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৮১ রান। জবাবে ওপেনিং ব্যাট করতে নেমেই মাত্র ৪ রান করে নুয়ান কুলাসেকারার প্রথম ওভারে শেষ বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন তামিম ইকবাল।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৯ রান। ক্রিজে আছেন সৌম্য সরকার (৫) এবং সাব্বির রহমান ০ রানে।
আগে ব্যাট করতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলংকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন কুশল মেন্ডিস। এছাড়া থিসারা পেরেরা করেন ৫২ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি বিন মুর্তজা ৬৫ রানে ৩টি, মোস্তাফিজুর রহমান ৫৫ রানে ২টি এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ যথাক্রমে ৪৯ ও ৫০ রানের বিনিময়ে ১টি করে উইকেট নেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ আক্রমণাত্মক শুরু করে স্বাগতিকরা। প্রথম ১০ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ৭৬ রান।
এই অবস্থায় ইনিংসের একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন এই সিরিজেই ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। তার করা একাদশ ওভারের পঞ্চম বলে গুণাথিলকা বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে। তিনি করেন ৩৪ রান।
এরপর ইনিংসের চতুর্থদশ ওভারে আবারও সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ওই ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ খেলতে থাকা উপুল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে এবার দলকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। সাজঘরে ফেরার আগে থারাঙ্গা করেন ৩৫ রান।
থারাঙ্গার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন দিনেশ চান্ডিমাল। তাকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলীয় সংগ্রহে ৪৯ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস। দলীয় ১৩৬ রানে দিনেশ চান্ডিমালের রান আউটে ভাঙে জুটি। চান্ডিমাল করেন ২১ রান।
চান্ডিমাল ফেরার পর ব্যাট করতে নামা মিলিন্দা সিরিবর্ধনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চান্ডিমালের মতো তিনিও ফেরেন রান আউট হয়ে। দলীয় ১৬১ রানে সাজঘরে ফেরার আগে সিরিবর্ধনে করেন ১২ রান।
দলের চতুর্থ উইকেটের পতনের পর ব্যাট করতে নামেন আসেলা গুণারত্নে। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তিনি দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৩৩ রান। দলীয় ১৯৪ রানে কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার অফ কাটারে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মেন্ডিস করেন ৫৪ রান।
ইনিংসের ৪৪তম ওভারে দলীয় ২১৬ রানে শ্রীলংকার ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন হয়। অধিনায়ক মাশরাফির করা ওই ওভারের তৃতীয় বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসেলা গুণারত্নে। তিনি করেন ৩৪ রান।
পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসে আবার আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। এবার তার অফ কাটারে কাটা পড়েন লংকান ব্যাটসম্যান সেক্কুগে প্রসন্ন। মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ১ রান। শ্রীলংকার রান তখন ৭ উইকেটে ২৩০ রান।
এরপর ব্যাট করতে নামা দিলরুয়ান পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান যোগ করেন থিসারা পেরেরা। মাশরাফির করা ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ২৭৫ রানে দিলরুয়ান পেরেরা আউট হয়ে ফিরলে শ্রীলংকার অষ্টম উইকেটের পতন হয়। তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে পেরেরা করেন ১৫ রান।
এরপর একই ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অর্ধশতক তুলে নেওয়া থিসারা পেরেরা। তিনি করেন ৫২ রান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ৯০ রানের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। পরে দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ফলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে টাইগাররা। এই ম্যাচটি জিতলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেবে মাশরাফিরা। আর হারলে সমতায় শেষ হবে সিরিজ।
০১ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি