রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০১৭, ০৪:০৩:২২

ঢাকায় আপন চাচার বাসায় বেড়াতে এসে ফুটপাতে ক্রিকেট খেলছেন হাশিম আমলা

ঢাকায় আপন চাচার বাসায় বেড়াতে এসে ফুটপাতে ক্রিকেট খেলছেন হাশিম আমলা

স্পোর্টস ডেস্ক: এই সেই ধার্মিক ক্রিকেটার হাশিম আমলা। বাংলাদেশের সাথে ক্লাসিক এই ব্যাটসম্যানের সম্পর্কটা অনেক ঘনিষ্ট, অনেক বেশি গভীর। নয় মার্চ, ২০০৮। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। টেস্ট অভিষেকের চার বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকানদের হয়ে সেদিনই প্রথম রঙিণ পোশাকে খেলতে নামেন হাশিম আমলা।

সেজন্য, নি:সন্দেহে বাংলাদেশকে সব সময়ই মনে রাখার কথা ডান হাতি এই ব্যাটসম্যানের। তবে, ব্যাপার হল, বাংলাদেশের সাথে ক্লাসিক এই ব্যাটসম্যানের সম্পর্কটা আরও ঘনিষ্ট, আরও অনেক বেশি গভীর। হাশিম আমলা যে এই ঢাকারই ‘ভাতিজা’। হ্যা, সত্যিই তাই। দীর্ঘকাল ধরে এই ঢাকাতেই বসবাস করছেন হাশিম আমলার চাচা। বাংলাদেশে খেলতে আসলে আমলা নিজেও ছুটে আসেন চাচার বাসায়। তবে এবার কোন সিরিজ খেলতে আসেননি তিনি। সিরিজ না খেলেও বসে থাকেননি আমলা। ঢাকায় আপন চাচার বাসায় বেড়াতে এসে ফুটপাতে ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়লেন আমলা।

আমলাদের পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল ভারতের গুজরাটে। আমলার দাদা ছিলেন সেখানকার সুরাট শহরের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে চাচার বাড়ির উঠোনে ক্রিকেট খেলেন হাশিম আমলা।

আমলার বাবারা তিন ভাই। তিন ভাই তিন দেশে থাকেন। বলাই বাহুল্য, এর মধ্যে আমলার বাবা মোহাম্মদ এইচ. আমলা থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে। সেখানেই ১৯৮৩ সালে জন্ম হয় হাশিম আমলার।  চার বছরের বড় ভাই আহমেদ আমলার মত হাশিমও ওই ডারবানেই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বড় ক্রিকেটার।

হাশিম আমলার বাকি দুই চাচার মধ্যে একজন থাকেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে। আরেকজন থাকেন ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ যেবার দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশে খেলতে এসেছিল সেবারও চাচার বাসায় বেড়িয়ে এসেছিলেন হাশিম।

ওই সময় অ্যাপার্টমেন্টের উঠোনেই তাঁকে দেখে স্থানীয় মানুষজন ঘিরে ধরেন। ক্ষুদে শিশুরা তাঁর সাথে ক্রিকেটও খেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে সেই ছবিগুলো বেশ ভাইরাল হয়।

ভারতীয় বংশোদ্ভুত বলে বরাবরই গণমাধ্যমের অনেক প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় হাশিমকে। যদিও তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, ‘আমার পূর্বপুরুষ গুজরাটের। কিন্তু, আমি পুরোদস্তর দক্ষিণ আফ্রিকান।’
২ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে