শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:০৬:১১

‘এবার আমি শান্তিতে মরতেও পারব’

‘এবার আমি শান্তিতে মরতেও পারব’

স্পোর্টস ডেস্ক: পেশায় দারোয়ান। মুশফিকের বাড়ির খুব কাছে অন্য একটা বাড়িতে চাকরি করেন।  সে প্রায় ৪/৫ বছর ধরে।  কিন্তু কোনোদিন জানাই হয়নি মুশফিক তার প্রতিবেশী।  একদিন জানলেন।  তারপর তারকার সঙ্গে দেখাও করলেন।  বিদায় নেয়ার আগে বলে এলেন, ‘এবার শান্তিতে মরতেও পারব!’

মুশফিক এমন ভক্তকে দেখে নিজেও অবাক হয়েছেন।  ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ‘আমার চাচার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন আমি এখানে থাকি।  চাচাকে অনুরোধ করেন আমার সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে। ’ফেসবুকে লিখেছেন মুশফিক।

অতিথিকে বাড়ি পেয়ে আপ্যায়নও করেন জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক।  হাত মেলান।  খাবার খেতে দেন।  কিন্তু ভক্ত যেন নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলেন না।  অজানা শিহরণে কাঁপছিলেন।  অবাক বিস্ময়ে দুচোখ ভরে দেখছিলেন ‘আকাশের তারা’কে।

‘তিনি আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না।  এরপর আবার চাচা তাকে ছবি তুলতে অনুরোধ করেন,’ মুশফিক লিখেছেন, ‘কিন্তু কিছুতেই তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।  শুধু বললেন, আমার জীবন ধন্য।  আমি এখন শান্তিতে মরতেও পারব। ’

অপরিচিতের এমন ভালোবাসা পেয়ে মুশফিকও নিজেকে ধন্য মনে করছেন, ‘তার মতো কোটি কোটি মানুষ ক্রিকেটারদের ভালোবাসেন।  তাদের ভালোবাসার জন্যই আমরা পারফর্ম করতে পারি। ’

‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে এবং এমন সম্মান পেয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ’ লিখেছেন আপ্লুত মুশফিক।

‘সেই সব মানুষকে অন্তর থেকে সম্মান জানাই, যারা অল্প রোজগার করেন কিন্তু একটি ম্যাচও মিস করেন না।  আমরা আরও ভালো খেলতে চেষ্টা করব, যাতে এই মানুষগুলো এভাবে হেসে যেতে পারেন।  তারাই তো আমার অনুপ্রেরণা। ’

মুশফিক যেন বলতে চাইলেন, ‘আমি হতে আমার নামটি বড়।  নামের থেকে আমার ভক্ত বড়!’
২১ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে