তন্ময় বোস:এই তো সেদিনের কথা। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত তিন রানের সময় নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশ হাজার রান পূর্ণ করেন জ্যামাইকান ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল!
আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২০০৫ সালে পিসিএ মাস্টার্স একাদশের হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করেন। এখন পর্যন্ত পনেরটি দলের প্রতিনিধিত্ব করা এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান বাকিদের থেকে এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে যোজন ব্যাবধানে এগিয়ে।
গেইলের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের উত্থান শুরু হয় ২০১১ সালে যখন. তাঁকে জাতীয় দলের বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। সেই মৌসুমের আইপিএলেও গেইল ছিলেন অবিক্রীত! তবে ডার্ক ন্যানেসের ইনজুরি তার ভাগ্য খুলে দেয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তার সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে ন্যানেসের বদলি হিসাবে। এরপরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই স্বঘোষিত ‘ইউনিভার্স বস’কে।
১ - গেইলই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি তিন ফরম্যাটেই দশ হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ১৩২২৬, লিস্ট এ ম্যাচে ১১৬৯৪ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০০৭৪ রানের গর্বিত মালিক গেইল।
১ - গেইলই একমাত্র ব্যাটসম্যান, যার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি, ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি এবং টেস্ট ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে। গেইল সেই বিরল চারজনের একজন যার টেস্ট ক্রিকেটে দুটি ত্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে, এছাড়া টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসাবে দুটি সেঞ্চুরির মালিক গেইল।
১৭৫* - টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত সংগ্রহ ক্রিস গেইলের। এছাড়া যেকোনো ফরম্যাট মিলিয়ে সবথেকে দ্রুততম শতকও তার দখলে। পুনে ওয়ারিওর্স এর বিপক্ষে মাত্র ৩০ বলে শতক পূর্ণ করেন তিনি। দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিতেও যুগ্মভাবে আছেন শীর্ষে। যুবরাজ সিং এর মতো তিনিও ১২ বলে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি।
৭৫৩৪ - বাউন্ডারি দিয়ে করা গেইলের রানসংখ্যা। ৭৬৯ টি চার এবং ৭৪৩ টি ছয়ের সাহায্যে এই রান করেছেন গেইল। ছয় মারার দৌড়ে সতীর্থ কাইরন পোলার্ড আছেন গেইলের পরেই। ৪৫৯ টি ছক্কা মেরেছেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানও।
১৮ - টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে গেইলের করা সেঞ্চুরির সংখ্যা, যেটা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাককালামের থেকে ১১ টি বেশি!
৬ - ২০১১ সালের পর থেকে টানা ছয় বছর ১০০০ বা তার বেশি রান করেছেন গেইল।
১৪৫ - একটানা ১৪৫ ইনিংস শূন্য রানে আউট হননি গেইল যেখানে কোন প্লেয়ারই ১০০ ম্যাচের রেকর্ড অতিক্রম করতে পারেননি।
৪ - গেইল সেই চারজন খেলোয়াড়ের একজন যারা টি-টোয়েন্টি ইনিংসের প্রথম থেকে শেষ অবধি ব্যাট করে গেছেন। এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনিই একমাত্র প্লেয়ার যে এটা করতে পেরেছে।
৪৭ - ম্যান অব দ্যা ম্যাচের সংখ্যা গেইলের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লুক রাইট থেকে ১৯ টা বেশি।
গেইলের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার একটা মহাকাব্যের সমান। নিজেকে তো আর এমনি এমনি 'ইউনিভার্স বস' ঘোষণা করেননি এই স্পার্টান। সত্যিই তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহাশক্তিধর একজন দানব।-খেলাধুলা
২২ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি