স্পোর্টস ডেস্ক: শনিবারের বিশেষ সাক্ষাৎকারে আল আমিন জুনিয়রের গল্প। শনিবারের বিশেষ সাক্ষাৎকারে আল আমিন জুনিয়রের গল্প। সফল হওয়া প্রতিটি মানুষের জীবনেই অনেক বাঁধা প্রতিবন্ধকতা থাকে। তবে তাদের চেয়েও আলআমিন জুনিয়রের ক্রিকেটার হওয়ার পথটা কঠিন এবং সংগ্রামী ছিলো।
ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর দিকে আল-আমিন পেস বোলিং করতেন। কিন্তু উচ্চতা একটু কম হওয়ায় কোচের পরামর্শে পেস বোলিং ছেড়ে অফস্পিন ধরেন। আগামীর সম্ভবনাময় এই ক্রিকেটার খেলাধুলা.কমে মুখোমুখি হয়েছেন শনিবারের বিশেষ সাক্ষাৎকারে। নিজের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন এবং বাকি জীবনটাকে ক্রিকেট খেলে কাটিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি খোলাখুলি আলাপ করেছেন।
ফুটবল, হকির মতো খেলা রেখে ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে যাওয়ার কারণ?
আসলে ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা ছিলো। বাংলাদেশের খেলা দেখতাম। মোহাম্মদ আশরাফুলের খুব ভালো ফ্যান ছিলাম। ওনার খেলা আমার ভালো লাগতো। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম ওনার মতো ক্রিকেটার হওয়ার। তাছাড়া মাশরাফি ভাইয়ের খেলাও আমার ভালো লগতো। দেশিয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আমার আইডল আশরাফুল ভাই। আর দেশের বাইরে মাইকেল ক্লার্ক (অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক)।
কিভাবে ক্রিকেটার হয়ে গেলেন?
স্কুল ক্রিকেট থেকেই আমার ক্রিকটার হয়ে ওঠা। পরিবারের সুত্রে ঢাকার পুর্ব জুরানে আমাদের বসবাস। ২০০৫ সালে কে এম মাইনুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে আমি স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশ নেই। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেনিতে পড়াশুনা করতাম। আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিলো মাতুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপক্ষে, আবাহনী মাঠে। তখন আমি পেস বোলিং করতাম। সেটাই ছিলো ক্রিকেট বলে আমার প্রথম কোনো ম্যাচ। তার আগে প্রাকটিসও করা হয়নি। প্রথম ৫টা ম্যাচ আমি কোনো প্রাকটিস ছাড়াই খেলেছি। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৭ রান এবং বোলিং করে ১ উইকেট নিয়েছিলাম। পরের ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৯ রান আর বল হাতে ৬ ওভারে ১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছি। স্কুল ক্রিকেটের সেই আসরে ভালো খেলা ৬জন খেলোয়াড়কে অনূর্ধ্ব-১৩ জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়। আমি সেই তালিকায় ছিলাম। বিকেএসপিতে ২১ দিনের ক্যাম্প হয় আমাদের। ক্যাম্প শেষে আব্দুল হাদী রতন স্যার (জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ) আমাকে বললেন তুমি ভালো খেলো। যদি ভালো ক্রিকেটার হতে চাও তাহলে তোমাকে ভালো কোনো কোচের কাছে প্রাকটিস করতে হবে। তো স্যারের পরামর্শে ২০০৬ সালে ওনার ক্লাবে (ঢাকা ক্রিকেট একাডেমিতে) ভর্তি হই। রতন স্যারের অধীনে আমি পল্টন মাঠে প্রাকটিস করতাম। স্যারের কাছে কোচিং করার পর থেকে আমি অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে খেলেছি। মূলত বয়স ভিত্তিক সব ন্যাশনাল দলে আমার খেলা হয়েছে।
পেস বোলিং ছেড়ে অফস্পিনকে বেছে নেয়ার কারণ কি?
আসলে এটা এখন বললে অনেকেই হাসবে। হাসি...। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে টপঅর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশপাশি পেস বোলিং করতাম। অন্যদের তুলানায় উচ্চতায় ছোট হওয়ায় স্যার আমাকে পেস বোলিং ছেড়ে অফস্পিন করার পরামর্শ দিয়েছেন। স্যারের কথা ধরেই অস্পিন করা, তো আস্তে আস্তে ভালো করছি বোলিংয়ে।
পেস বোলিং ক্যারিয়ারে আপনার কতোগুলো উইকেট আছে?
আসলে পেস বোলিং ক্যারিয়ারে আমি তেমন বেশি ম্যাচ খেলিনি। বেশি উইকেটও পাইনি। ২০০৫ সালে মার্চে আমি খেলা শুরু করেছিতো, ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত আমি স্কুল এবং পাড়ার ক্রিকেটে পেস বোলিং করতাম। তখন সব মিলিয়ে মনে হয় ১২ উইকেট পেয়েছি। অনূর্ধ্ব-১৩ ক্যাম্পে যোগ দেয়ার পার আর পেস বোলিং করিনি। তবে আমার মনে আছে পেস বোলিং করে আমি অনূর্ধ্ব-১৩ দলে একটা ম্যাচে জিতিয়েছিলাম।
খেলাধুলার জন্য পরিবার থেকে সাপোর্ট পেয়েছেন?
না, না ভাই। খেলার জন্য পরিবার থেকে সাপোর্ট পাইনি। ক্রিকেট খেলার জন্য কতো যে মাইর খেয়েছি, তার ঠিক নেই। আমার কাছে মনে হয় যে, ভাতের চাইতে মাইরই বেশি খাইছি। কারণ হচ্ছে খেলার জন্য ভাত খাওয়ার সময় পেতাম না। বাসায় আসলে মাইর বেশি খেতে হতো। এটা কন্টিনিউ ছিলো। খুব ছোট থাকতে খেলতে গেলে বাসায় সবাই দুশ্চিন্তা করতো। যেমন আমি সকাল ৬টায় যখন খেলার জন্য বের হতাম তখন আমার আম্মা, আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ওনার শাড়ির আচলের সাথে আমায় বেঁধে রাখতেন। যেন চলে যাওয়ার সময় উনি বুঝতে পারেন। আমি কিন্তু তারপরও খেলতে গিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে যখন দেখতাম আচলের সাথে আমায় বেঁধে রাখছে, তখন কোনো শব্দ না করে বাঁধন খুলে, লুকিয়ে মাঠে চলে যেতাম। কেনো দিন মিস হয়নি। বাসায় আসলে প্রতিদিনের মতোই মাইর চলত। এখন আমার আব্বু বলেন, ও খেলার জন্য কতো মাইর খেলো। ওকে কতো মেরেছো, এখন ও খেলছে, মানুষ ওকে চিনতেছে।
এত মার খেয়ে ক্রিকেটার হলেন, এখন কি সেই স্মৃতি মনে পড়ে?
হ্যা মনে পড়ে। মাঝে মধ্যে এনিয়ে অনেক ভাবি। ঐ সময়টা নিয়ে যদি বলি, আমরাতো ছয় ভাই তিন বোন। আমি সবার ছোট। তো আমার চার নম্বার যে ভাই, সে খুব সাপোর্ট করেছে খেলার জন্য। ভাইয়্যা বাবা-মাকে বুঝাতেন যেন আমাকে খেলতে যেতে দেয়া হয়। উনি বাসায় বলতেন আব্বা ওকে প্রাকটিস করান ও ভালো করবে। এছাড়া বাসা থেকে কোন সাপোর্ট পাইনি। আমার বাবা ব্যবসায়ী ছিলেন, এখন তিনি হার্টের রোগী। তিনি এখন তেমন কিছু করতে পারেন না। বর্তমানে তো আমিই ক্রিকেট খেলে সংসার চালাই।
এখন পরিবার আপনার ক্রিকেট খেলাটাকে কি ভাবে নিচ্ছে?
আসলে সত্যি কথা বললে আপনি যদি, ভালো কিছু করেন তখন সবাই সাপোর্ট করবে। কিন্তু যখন শুরু করবেন, তখন সেটাকে কেউ নিতে পারে না। আমার মনে হয় এরকম সমস্যা সবারই থাকে। এখন দেখা গেছে তার উল্টোটা হয়েছে। এখন যদি আমি কোনো দিন প্রাকটিসে না যেতে চাই, তখন মা বলেন, কিরে আজ প্রাকটিসে গেলি না যে। আর ঐ সময়টা ছিলো অন্যরকম। এখন ওনারাও বুঝতেছেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটে ভবিষ্যত আছে। তো আমার মনে হয় এখন ব্যাপারটা ইজি হয়ে গেছে।
আপনি আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মকে ক্রিকেটার হতে উৎসাহিত করবেন?
আসলে ওই ভাবে ভাবিনি। হাসি...। আমার মনে হয় ক্রিকেট প্লেয়াড় যে হবে, তার নিজ থেকে আগ্রহ থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো সে আসলে কি চায়। আমার শুরুর দিকে যেটা হয়েছে, আমার পরিবার ছিলো একদিকে আর আমি ছিলাম অন্যদিকে। আমার খেলতে হবে। সেই মানসিকতা ছিলো। কিন্তু যদি পরিবার থেকে বলে ক্রিকেটার হতে, আর আমার চিন্তা ভাবনা অন্য থাকে তাহলে হওয়া সম্ভব না। এটা অনেক কঠিন। এটা নির্ভর করবে তার উপর যে ক্রিকেট প্লেয়াড় হবে। জোড় করে কিছু করা যায় না। হইতে চাইলে আমার মনে হয় সেটা সাপোর্ট করা উচিৎ।
সৌম্য এবং মোসাদ্দেকের সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। ওরা এখন জাতীয় দলে নিয়মিত খেলছে, আপনি এখনও সুযোগ পাননি। এ নিয়ে নিজের মধ্যে হতাশা কাজ করে না?
আসলে আমরা ছোট বেলা থেকেই অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, আবুল হাসান রাজু এক সাথে খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মোসাদ্দেক ছিলো। এটা খুব ভালো লাগে যে, আমার সাথের একটা খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলছে। এটা নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে যে, আমিও একদিন জাতীয় দলে সুযোগ পাবো। আমরা ২০১২ সালে যুব বিশ্বকাপে খেলেছি। আমি এখন লিগে খেলছি, ওরা জাতীয় দলের মেইন প্লেয়াড় হিসেবে খেলছে। লেট হইছে বলব না। আমার মনে হয় যদি বেশি সময় নিয়ে জাতীয় দলে যেতে পারি তাহলে আমার জন্য ভালো হবে।
কখন থেকে মনে হলো ক্রিকেটাকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়?
যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলি, ২০০৭ সালে প্রথম বিভাগে ঢাকা মেরিনার্স ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য অপার আসে। ঐ ক্লাবে এক বড় ভাই খেলতেন। ওনারা প্রথম কয়েকটা ম্যাচে হারায় আমাকে খেলার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। আমার স্যার খেলতে দেননি। তিনি বলেছেন ও এখনও অনেক ছোট, এখনই ওকে খেলতে দিবো না। ঐ ক্লাবে যারা ছিলো তারা দেখতাম প্রথম বিভাগ এবং প্রিমিয়ার লিগে খেলতো। তাদের দেখে খুব ভালো লাগতো। ওনাদের দেখে মনে হয়েছে আমিও প্রথম বিভাগে খেলব, প্রিমিয়ার লিগে খেলবো। মূলত প্রথম বিভাগের খেলার প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকেই মনে হয়েছে ক্রিকেটটাকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়।
আপনার প্রথম ক্লাব কোনটি?
ঢাকা লিগে আমার প্রথম ক্লাব হলো প্রাইম দোলেশ্বর। এই দলের হয়ে ২০০৮ সালে দ্বিতীয় বিভাগে খেলেছি। পরের বছর দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে খেলেছি। আমার প্রথম বিভাগের দল হলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এই ক্লাবের হয়ে ২০১০ সালে প্রথম বিভাগে ৭ ম্যাচে আমি ৪০০ রান এবং ১৫ উইকেট নিয়েছি। সেই বছর আমার পারফরম্যান্সের কারণেই ব্রাদার্স দলটি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পায়। এরপর ২০১২ সালে প্রিমিয়ারে খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্প থাকায় সবগুলো ম্যাচে আমি প্রিমিয়ারে খেলতে পারিনি। ব্রাদার্সের হয়ে প্রিমিয়ারে মাত্র দুইটা ম্যাচ খেলেছি। ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার লিগে আমি আবাহনীতে খেলেছি। তারা আমাকে অকেশনের মাধ্যমে কিনে নিয়েছে। পরের বছরও আমি আবাহনীতে খেলেছি। ক্লাব ক্রিকেট খেলার শুরু দিকে অনেকে আমাকে দেখে মনে করত ছোট ছেলে যে, আমি পারবো না। আমি এটা ফিল করতাম। তবে আমার চেয়েও আমার কোচের আত্নবিশ্বাস আমার উপর বেশি ছিলো। উনি বলতে ওরে খেলান, দেখেন কি করে। আমার ভেতর তখন অনেক জেদ কাজ করতো। তখন আমি নিজেই চেষ্টা করতাম ভালো করার।
ক্লাব ক্রিকেটে আপনার সেরা সময় কোনটা ছিলো?
এখনও পর্যন্ত যদি বলি, তাহলে গত বছরের প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সকেই আমি এগিয়ে রাখবো। গতবার আমি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে প্রিমিয়ারে ১৬ ম্যাচে ৬৭২ রান করার পাশাপশি ১৬ উইকেট নিয়েছে। এটা আমার ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা পারফরম্যান্স।
প্রিমিয়ারে ভালো খেলার পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশিত ছিলেন?
আসলে সত্যি কথা বলতে জাতীয় দল নিয়ে এখনও ঐই ভাবে চিন্তা করি না। নিজের ভেতরে স্বপ্ন আছে জাতীয় দলে খেলার। তবে ঐইটা তো আর আমার হাতে না। তাছাড়া এখন বাংলাদেশ টিমে অনেক কম্পিটিশন চলে। ভালো পারফরম করা ছাড়া জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মুশকিল। এখন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এখন মিডল অর্ডারে মোসাদ্দেক খুব ভালো করছে। মিরাজ পারফরম করছে। মুশফিক ভাই রিয়াদ ভাই ওনারা সবাই ভালো করছেন। আমার পক্ষ থেকে আমি ভালো খেলে যাই বাকিটা ওনাদের হাতে। ওনারা যদি মনে করেন আমি জাতীয় দলে খেলার উপযুক্ত তাহলে ডাকবেন।
ক্রিকেট খেলেই যেহেতু জীবন কাটাতে চান, সেটা নিয়ে আপনার নিজের কি পরিকল্পনা?
হ্যাঁ, ক্রিকেট খেলেই সারাটা জীবন কাটাতে চাই। কারণ ছোট বেলা থেকে যে জিনিসটার সাথে জড়িয়ে গেছি সেটা ছাড়া যাবে না। মাঝে মধ্যে খুব খারাপ লাগে যখন দেখি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা অবসর নেয়। তখন আমারো মনে হয় একদিনতো আমাকেও ক্রিকেট ছাড়তে হবে। তবে যতো দিন পারি খেলব। এজন্য দরকার ফিটনেস। ভালো খেলতে চাইলে ফিটনস ভালো থাকা চাই। প্রতি বছরই এইচপির ক্যাম্প হয় সেখানে যে প্রাকটিস করানো হয়, সেটা যদি আমরা বাসায় নিজে নিজে করতে পারি এবং নিয়মানুসারে খাওয়া-দাওয়া করি তাহলে ফিট থাকা সম্ভব। এখন চিন্তা হচ্ছে, ফিট থাকা, ভালো খেলা।
আপনার এখন লক্ষ্য কি?
বর্তমান চিন্তা হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। আমি সব সময়ই সামনে যে জিনিসটা আছে সেটা নিয়ে চিন্তা করি। এখানে টপ স্কোরার হতে চাই। আর না হোক যেন সেরা পাঁচে থাকতে পারি। আর প্রিমিয়ার লিগের পরে অন্য যে খেলাগুলো থাকবে সেগুলোতে ভালো করা। সামনে যে খেলাগুলো আসবে সেখানে ভালো করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রিমিয়ারে গত বছর ভালো করেছি তবে বিপিএলে এবং বিসিএলে ভালো হয়নি। এবার লক্ষ্য ধারবাহিক থাকতে। খুব জরুরি, যেন দুই তিনটা টুর্নামেন্টে কন্টিনিউ ভালো করতে পারি।
২৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর