মোহামেডানের বিরুদ্ধে স্পিঙ্গার বাজানের জয়
স্পোর্টস ডেস্ক: চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের স্পিঙ্গার বাজান ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান। মোহামেডান-বাজানের ম্যাচ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ, আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের। টুর্নামেন্টের একমাত্র বিদেশিহীন দল স্পিঙ্গার বাজান। জাতীয় দলের ছয়-সাতজন খেলোয়াড় নিয়ে গড়া দলটি খেলেছে মরিয়া হয়ে। পারল না মোহামেডান মোহামেডানের আক্রমণগুলোতেও স্থানীয়রা বেশি সক্রিয়। মূল একাদশে খেলা ওলাবানজি এলানি, মাইকেল এবং লেমিন কামারাকে ছাপিয়ে গেছেন দুই উইঙ্গার মোবারক, ইব্রাহিম এবং ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন। গোল বেশি মিসও হয়েছে তাঁদের পা থেকে।
বাজান ক্লাব ধারাবাহিক আক্রমণের ফল পায় খেলার ৩৩ মিনিটে। অবশ্য তাতে অনেকটা দায় আছে দলীয় অধিনায়ক অরূপ কুমারের। কারণ মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের দেওয়া পাস যখন আনোয়ার আকবরীকে খুঁজে পায় তখন তিনি ডি-বক্সের বাইরে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে। কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা মোহামেডান অধিনায়ক চেষ্টা করেও আকবরীর শট ঠেকাতে পারেননি। গোলবারের ডানপ্রান্ত থেকে নেওয়া আকবরীর কোনাকুনি শট দারুণ খেলতে থাকা গোলরক্ষক আশরাফুল ফেরাতে পারেননি।
৪১ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোবারকের একটি মাটি কামড়ানো শট বাজান গোলরক্ষকের হাত ফসকে গেলেও ডান বারের কোণ ঘেঁষে তা বেরিয়ে যায়। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহামেডান। ৫৯ মিনিটে স্বাগতিক অধিনায়ক অরূপ কুমারের একটি লং শট প্রতিপক্ষের গোলবারের জাল স্পর্শ করে। দর্শকদের মধ্যে এ সময় গোলের বিভ্রম ছড়িয়ে পড়লেও মূলত বলটি বারের ওপর দিয়ে যায়। তবে এর দুই মিনিট পরেই সমতায় ফেরার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি আসে মোহামেডানের সামনে। এ সময় অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় সফরকারী দলের একেবারে ডি-বক্স লাইনের ওপর ফ্রিকিক পায় জসিম উদ্দিন জোশীর শিষ্যরা। গোল ঠেকাতে এ সময় বাজান ক্লাবের সব খেলোয়াড় গোলবারের আশপাশে অবস্থান নেন। নিশ্চিত গোলটি ঠেকিয়ে এর পুরস্কারও পায় দলটি। মোবারকের বাড়িয়ে দেওয়া বল মিন্টু শেখ বাম পোস্টে লব করেন। বলটি বাজান গোলরক্ষক হামিদুলল্লাহ ইউসুফজাইকে ফাঁকি দিলেও হেডে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে নিশ্চিত গোলটি ঠেকিয়ে দেন মিডফিল্ডার ফারদিন। এরপর কিছু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ থাকলেও লিড ধরে রেখেই খেলা শেষ করে আফগান ফুটবলাররা। 'বি' গ্রুপে শ্রীলঙ্কান সলিড এসসির সঙ্গে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে আছে স্পিঙ্গার বাজান ক্লাব।
ম্যাচ শেষে দলের হারের জন্য ভাগ্যকেই দুষছেন ঢাকা মোহামেডানের প্রধান কোচ কাজী জসিম উদ্দিন আহমেদ জোশী। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এই হারকে গৌরবময় হার হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, 'ফুটবল গোলের খেলা। ওরা গোল পেয়েছে, আমরা পাইনি। তবে আমার ছেলেরা শেষ সামর্থ্য দিয়ে লড়েছে। ভাগ্য সহায় থাকলে আমরা হয়তো পাঁচটি গোল পেতে পারতাম।'
২২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ