স্পোর্টস ডেস্ক: আজ ব্যাট-বলের যুদ্ধে নামবে পাক-ভারত। ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন, ভারত কি পারবে তাদের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে? আবার পাকিস্তান কি পারবে হারের প্রতিশোধ নিতে? কি ঘটতে যাচ্ছে আজকের ম্যাচে; সেটি দেখার অপেক্ষায় সবাই। আর তা নিতে চলছে তুমুল আলোচনা।
আজ (রবিবার) ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিয়ে খোদ আইসিসি-র তৈরি করা ‘ক্যাচলাইন’। যা জ্বলজ্বল করছে দু’দলের ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমের ঠিক বাইরেই। দু’দলের দুই অধিনায়ক সেখানে দাঁড়িয়ে ফাইনাল উপলক্ষে বিশেষ ফটো-সেশনের জন্য পোজও দিলেন। তাই তাঁরা দেখতে পাননি এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। টুর্নামেন্টের বিভিন্ন মুহূর্ত দিয়ে তৈরি করা ছবির কোলাজে অটোগ্রাফও করলেন বিরাট কোহালি এবং সরফরাজ আহমেদ।
ফাইনালের আগে নিয়ামক সংস্থাই একটা দলকে ফেভারিট আর একটা দলকে আন্ডারডগ বেছে দিচ্ছে, কখনও কোনও খেলায় দেখা যায়নি। সেটা যদি বিরল হয়, তা হলে এমন নজিরবিহীন ব্যাপার-স্যাপার আরও আছে। যেমন, এই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সর্বকালীন টিভি দর্শকের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে পূর্বাভাস। একশো কোটি মানুষ রবিবারের ফাইনাল দেখবেন কি না, তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে।
ডেভিড বেকহ্যাম, ওয়েন রুনিদের দেশে দুই ম্যাঞ্চেস্টারের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা এসে পড়ছে রবিবাসরীয় মহারণের। ফুটবলের তারকারা কি কেউ ম্যাচ দেখতে আসতে পারেন? ভারত থেকে কারা কারা আসছেন? অতিথিদের তালিকা নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে। ভারত-পাক ম্যাচ মানে যে শুধু মাঠের সেরা যুদ্ধ নয়, পুরো আবহটাই হয়ে ওঠে অ্যাম্ফিথিয়েটারের মতো।
তারকা থেকে শুরু করে দুঁদে রাজনীতিবিদ, ফিল্মস্টার থেকে সঙ্গীতজ্ঞ— সকলে এই দ্বৈরথের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এজবাস্টনে গ্রুপ লিগের মহারণ দেখতে যেমন চলে এসেছিলেন ঋষি কপূর। রবিবার ওভালের জায়ান্ট স্ক্রিনে হঠাৎ করে রণবীর কপূর ভেসে উঠবেন না, কে বলতে পারে! অতিথিদের তালিকা নিয়ে সকাল থেকে রটে গিয়েছিল রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা বঢরা আসছেন। অবশ্য বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত কোনও খবর নেই তাঁদের আগমন নিয়ে।
বরং শোনা যাচ্ছে, রবিবারের ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে চমক হতে পারেন শাহরুখ খান। তাঁকে নাকি মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে আনা হচ্ছে। ওভাল থেকে শাহরুখের সঙ্গে গলা মেলাতে পারেন শচিন টেন্ডুলকার।
বিশ্ব মানের আইসিসি ইভেন্টে জয়ের হিসেব ভারতের পক্ষে ১৩-২। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও প্রথম ম্যাচে কোহলির ভারত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১২৪ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। যদিও কোহলি বলে গেলেন, সেই ম্যাচের কোনও প্রভাব রবিবার পড়বে না। ‘‘আমরা পাকিস্তানকে ঔদ্ধত্যের চোখে দেখব না, আবার ওদের সামনে ভয়ে সিঁটিয়েও থাকব না,’’ বললেন কোহালি। শারজার সেই সময় আর নেই, যখন জাভেদ মিয়াঁদাদ-রা শাসন করতেন। এখন বিরাটরাই রাজা। আইসিসি-ও যে তা-ই বলছে!
১৮ জুন ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর