শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭, ০৫:২২:০১

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে এসে টাইগার দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন ভয়ংকর এক বোলার

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে এসে টাইগার দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন ভয়ংকর এক বোলার

স্পোর্টস ডেস্ক: গত বছর হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৫ ক্রিকেটারের কোলাহলে মুখর হয়ে উঠেছিল বিসিবির একাডেমি প্রাঙ্গণ। এর মধ্যে একজনের চোখেমুখে আনন্দটা ছিল একটু বেশি।

রিকেটের এমন আবহে যে তিনি খুব একটা অভ্যস্ত নন। ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় কোনো টুর্নামেন্টে না খেলেই যে তিনি সুযোগ পেয়ে গেছেন এইচপি ক্যাম্পে। তবে এ পেস বোলারের চোখে এখন জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন।তার নাম এবাদত হোসেন চৌধুরী।

বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আয়োজিত পেসার হান্ট কর্মসূচির আবিষ্কার এবাদত হোসেন। তাই বলে ক্রীড়াঙ্গনে তিনি কিন্তু একেবারেই নতুন নন। বেশ ভালো ভলিবল খেলেন। ভলিবল খেলার সূত্রেই বিমান বাহিনীর চাকরি পেয়েছেন। তবে ছেলেবেলা থেকে ক্রিকেটটাও বেশ ভালো খেলতেন।

ভীষণ জোরে বোলিং করতে পারতেন বলে নিজ জেলা মৌলভীবাজার তো বটেই, আশপাশের অঞ্চল থেকেও খেলার ডাক আসত। বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর ক্রিকেট খেলার সুযোগ কমে যায়। বিভিন্ন গেমস থাকলেও সেখানে ক্রিকেটের চর্চা হয় না। তাই বলে বিমান বাহিনী তার ক্রিকেট খেলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বিভিন্ন ছুটিছাটা দিয়ে তাকে সুযোগ করে দেওয়ায় ২০১৪ সালে সিটি ক্লাবের হয়ে ঢাকায় প্রথম বিভাগে খেলেন।

মৌলভীবাজার জেলার হয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশ নিয়েছিলেন এবাদত। তবে তার ক্রিকেট প্রতিভা দেখানোর চূড়ান্ত সুযোগ পেয়ে যান রবি পেসার হান্টে। ফরিদপুর অঞ্চল থেকে নাম লিখিয়ে ১৪০ কিমির বেশি গতিতে বল করে নজর কাড়েন কোচ সারোয়ার ইমরানের।

বছর শুরুতেই পেসার এবাদত হোসেনকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন নির্বাচকরা। তাকে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমের সঙ্গে অভ্যস্ত করতে মাশরাফি-মুশফিকদের সঙ্গে সর্বশেষ কয়েকটি সফরে অনুশীলনের জন্য দলে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ২৩ বছর বয়সী পেসার এখনও নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। এবাদত এখন বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন।

তিনি বিশ্বাস করেন, প্রতিনিয়ত উন্নতি হচ্ছে তার। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত তিনি জাতীয় দলে ডাক পাবেন। কাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর এবাদত হোসেন বলেন, ‘এইচপি ক্যাম্পে আসার পর চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা বের করে আনতে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি সাত উইকেট নিয়েছি। ওই সফর থেকেই ছন্দ ফিরে পেয়েছি। তবে ভুলগুলো শুধরে আমাকে আরও উন্নতি করতে হবে।’

এইচপি দলের সাইমন হ্যালমট তাকে অনেক সাহায্য করছেন। এবাদত বলেন, ‘আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের কাছ থেকে কিছু টিপস নিয়েছি। এছাড়া আমাদের কোচ সাইমন হ্যালমট অনেক সাহায্য করছেন।’ সমস্যা কাটিয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন এই উদীয়মান পেসার। তিনি বলেন, ‘আমার রানআপে খানিকটা সমস্যা ছিল। সেটা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ অনেক সাহায্য করেছেন।’

এদিকে এইচপি দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৩, ১৬ এবং ১৯ আগস্ট তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। যুবা দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হিসেবেই এ তিনটি ম্যাচ আয়োজন করেছে বিসিবি। এবাদত বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ভালো কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে। সাইফ হাসান, আফিফ, পিনাক ঘোষ ওরা ভালো ব্যাটিং করে। তাদের বিপক্ষে ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে