অবসর ঘোষণাটা কত কষ্টের জানালেন বীরেন্দর সেবাগ
স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটর 'মারমুখী' একজন ব্যাটসম্যান বীরেন্দর সেবাগ অবসর বেলায় যেন কিছুটা বেশিই বিনয়ী ছিলেন। তখন অবশ্য তার মনের কথা কেউ পড়তে পারেননি; ধরতে পারেননি মার্ক টুয়েনকে উদ্ধৃত করে নিজের অবসর ঘোষণার আড়ালে কতটা কষ্ট, ক্ষোভ আর হতাশা চেপে রেখেছেন বীরেন্দর সেবাগ। তবে বেশিদিন সেই ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া এই ব্যাটসম্যান।
বীরেন্দ্র শেহবাগ জানিয়ে দিলেন, বিদায়ী টেস্ট না পাওয়ার আক্ষেপটা তাঁর থেকেই যাবে। বাংলার বিরুদ্ধে রনজি ট্রফির ম্যাচ খেলছেন বীরু। দ্বিতীয় দিনের খেলার পর কোনও রকম রাখঢাক না করেই বলেন, তখনই যদি নির্বাচকরা বলে দিতেন, আমাকে বাদ দেওয়া হবে, তা হলে অনুরোধ করতাম দিল্লিতে একটা শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ যেন আমাকে করে দেওয়া হয়।
কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ ওঁরা দেননি। খেলতে খেলতে অবসর নিতে না পারার কিছুটা দুঃখ আমার চিরকালই থেকে যাবে। তবে এটা যে কোনও প্লেয়ারের জীবনেই ঘটতে পারে। যখন খেলে তখন বুঝতে পারে না, সরে যাওয়া উচিত কি না। দল থেকে বাদ পড়লে তবে বুঝতে পারে। এরপর শেহবাগ প্রশ্ন করেন,
যে ক্রিকেটার ১২–১৩ বছর দেশের হয়ে খেলেছে, তার কি একটা বিদায়ী টেস্ট প্রাপ্য নয়? এটা শুধু আমার নিজের কথা বলছি না।
সবারই বিদায় সংবর্ধনা পাওয়া উচিত।’ আক্ষেপ আরও একটা রয়েছে। সেটা হল ১০ হাজার টেস্ট রান করতে না পারার। ৮৫৮৬ রান করা শেহবাগ বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আর দুটো টেস্ট সিরিজ পেলেই ১০ হাজার রান হয়ে যেত। সেই ২০০৬ সাল থেকে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলছি না।
ওদের বিরুদ্ধে আমার ব্যাটিং গড় ৯০ থেকে ১০০–র মধ্য।ে কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা হলেই তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেন, জানতে চাইলে শেহবাগ বলেন, ‘দুই দেশের খেলাধুলোয় যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেটাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করত। ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ মানেই মাঠ পুরো ভর্তি, দর্শকদের বাড়তি প্রত্যাশা। এটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করত।
১ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
�