বুধবার, ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৫:১৮

এনামুল-শাহরিয়ার নাফিজ কবে সুযোগ পাবে?

এনামুল-শাহরিয়ার নাফিজ কবে সুযোগ পাবে?

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের পর থেকে গত এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চেহারাটাই বদলে গেছে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে। কেউ নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন কেউবা অভিষেক খেলে চলে গেছেন আড়ালে। বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞরাও। সব মিলিয়ে দলে থাকার প্রতিযোগিতায় এখন নাম লেখাতে হয় প্রায় সবাইকেই। বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে কাঁধে চোট। বাংলাদেশ দল থেকে এনামুল হক সেই যে ছিটকে পড়লেন, গত আট মাসে আর একাদশে সুযোগই হলো না এনামুলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১৪ জনের দলে ছিলেন, তবে ঠাঁই মেলেনি চূড়ান্ত একাদশে। প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছিলেন এবারও। কিন্তু একাদশ তো দূরে থাক, ১৪ জনের দলে সুযোগই মেলেনি। বাজে পারফরম্যান্সে বাদ পড়েননি, আবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও খারাপ খেলেছেন তাও নয়। তবুও কেন একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না এনামুল? কারণ, জায়গাই যে নেই! কোথায় খেলানো হবে এনামুলকে? ওপেনিং জুটিতে তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের রসায়ন বেশ জমেছে। চোট না থাকলে এ জুটি ভাঙার ভাবনা নেই নির্বাচকদের। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার তো সেই পাকিস্তান সিরিজ থেকেই টানা তিন সিরিজ ছিলেন ১৪ জনের দলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ছাড়া খেলার সুযোগই মেলেনি রনির। এখন খেলছেন ‘এ’ দলের হয়ে জিম্বাবুয়েতে। বাংলাদেশ দলের আরেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে কড়া নাড়ছেন দরজায়। অবশ্য তিনিও অনিশ্চিত, কার জায়গায় সুযোগ মিলবে তাঁর! ওদিকে টেস্টে ধারাবাহিকতার প্রতিচ্ছবি মুমিনুল হক যেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলার আশা বাদই দিয়ে বসে আছেন। লিটন দাস ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে এসেছেন। তবে মূল একাদশে জায়গা টিকিয়ে রাখতে বেশ ঘাম ঝরাতে হচ্ছে তাঁকেও। লিটন সুযোগ পেয়েছিলেন মূলত মুশফিকুর রহিমের চোটের কারণে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেও কেন তাঁকে জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেতে কষ্ট হচ্ছে? এ মুহূর্তে যাঁরা একাদশে থাকছেন, পারফর্ম করছেন সবাই। কার জায়গায় কাকে খেলাবেন—মধুর সমস্যায় নির্বাচকেরা! দলের জন্য এমন প্রতিযোগিতা খুবই উপকারী মনে করছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। খেলোয়াড়দের ভাবনায় থাকবে, ভালো খেলেই টিকে থাকতে হবে দলে। নইলে আরেকজন জায়গাটা নিয়ে নেবে। পারফর্ম করতে না পারলে জায়গা নেই। আর এই সুস্থ প্রতিযোগিতা খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে শতভাগ বের করে আনতে পারে। খেলোয়াড়রা নিজেদের নিংড়ে দিতে তৈরি। সেটার ছাপ পড়েছে দলীয় খেলাতেও। শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চের বিকল্প নেই বড় দল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে। কোচ তাই বললেন, ‘খেলোয়াড়দের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা খুবই ভালো। এটাকে সুস্থ প্রতিযোগিতাই বলব। খেলোয়াড়রা জানে, তাদের পারফর্ম করতে হবে। খেলোয়াড়রা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যায়। দলে যারা আসছে, নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার সামর্থ্য তাদের আছে। দলের এখন যে অবস্থা তা বেশ ভালো।’ ৪ঠা, নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে