বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৯:২৮

মাশরাফি-মুশফিকদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের অবিশ্বাস্য চমক

মাশরাফি-মুশফিকদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের অবিশ্বাস্য চমক

স্পোর্টস ডেস্ক: দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ হেরে খেলতে আসা জিম্বাবুয়ে এবার টাইগার বাহিনীকে হারিয়ে বাংলাদেশ সফরে শুভ সূচনা করেছে। বৃহস্পতিবার মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্ধারিত একদশকে তারা ২০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। এদিন ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিল স্বাগতিক বিসিবি একাদশ। জবাবে, ৪৬.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে দল। বিসিবি একাদশটিতে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিলেন। নেতৃত্বেই ছিলেন বাংলাদেশের সীমিত ওভারের দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শফিউল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, সাব্বির রহমান ছিলেন বোলিং আক্রমণে। কিন্তু স্বাগতিক বোলিং সামলাতে তেমন কষ্ট হয়নি জিম্বাবুয়ের। ৫১ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামস তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ১৬২ রানের জুটি। উইলিয়ামস অবশ্য ৫৪ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছেন। আরভিন ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। বাঁ হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম তাকে তার দ্বিতীয় শিকার বানিয়েছেন। অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা (৬৪*) ও সিকান্দার রাজার (২২*) ৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জিম্বাবুয়েকে জয় পর্যন্ত নিয়ে গেছে। এর আগে, মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮১ রান। ইমরুল কায়েস ৫৬ ও এনামুল হক ৫২ রান করেছেন। ৩৮ রান এসেছে শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাট থেকে। টস হেরে ব্যাট করতে নামে বিসিবি একাদশ। জিম্বাবুয়ে বোলাররা ভালো বোলিং করছিলেন। সতর্ক ছিলেন ইমরুল ও এনামুল। তাদের ক্রিজে অনেকটা আটকে রাখেন প্রতিপক্ষ বোলাররা। এর মধ্যেই আক্রমণের মনোভাব দেখিয়ে দেন ইমরুল। মাসাকাদজাকে ছক্কা মারেন। ১০ ওভারের পর এনামুলও জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর চড়াও হন। মাসকাদজাকে তিনিও ছক্কা মারেন একটি। লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার এরপর বিসিবি একাদশের টপ অর্ডার ভেঙ্গে ফেলেন একা হাতে। পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে তিনি শিকার করেন ইমরুল, এনামুল ও লিটন দাসকে। ৬৪ বলে ২টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৫৬ রান করেন ইমরুল। আর এনামুল ৫২ রান করেন ৬১ বলে। চার মারেন ৭টি, ছক্কা ১টি। ২৩ বলে ২৫ রান করেন লিটন। সাব্বির রহমান ৩ রান করেই বিদায় নেন। দ্রুত ৪ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। ১০৫ থেকে ১৪৯ রানে তাদের শীর্ষ ৪ উইকেট নাই হয়ে যায়। সেখান থেকে দলের হাল ধরতে জুটি বাধেন মুশফিক ও নাফীস। পঞ্চম উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। তারা প্রথমে উইকেটে সেট করেছেন নিজেদের। তারপর গেছেন আক্রমণে। মুশফিক দুই ছক্কায় তার আগ্রাসী চেহারা তুলে ধরেন। স্ট্রেইট ড্রাইভ ও পুলে নাফীস বুঝিয়ে দেন তার মানসিকতা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মিডিয়াম পেসার জংবিকে ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন নাফীস। তার আগে ৩৮ বলে ৩৮ রান করেন চারটি চার ও একটি ছক্কায়। ০৫ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে