বিয়ে করে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হরভজন সিং
স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্য বিয়ে করেছেন৷ বিয়ে মানে তো আর একদিনের অনুষ্ঠানের নয়, দিন পাচেকের আয়োজন৷ মেহেন্দি, সঙ্গীত, চূড়া পরানোর অনুষ্ঠান, বিয়ে, রিসেপশন৷ প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কেটেছে দিনগুলো৷ সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে করতে, ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হরভজন সিং এবং গীতা৷
এতটাই যে হরভজন বলে ফেললেন, ‘টেস্ট ম্যাচ খেলার থেকেও বেশি ক্লান্তিকর বিয়ে করা। হ্যাঁ, মজাও হয়েছে৷ বন্ধু, আত্মীয়দের সঙ্গে অনেকদিন পর এত সময় কাটিয়েছি৷ এত আনন্দ করেছি৷ তবে ওই যে বললাম, সব কিছু সামাল দিতে দিতে আমি ক্লান্ত৷’
গীতাও স্বামীর সঙ্গে একমত৷ নব বধূ বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে অনুষ্ঠান চলেছে৷ সব যখন শেষ হল, রীতিমতো বিধ্বস্ত৷ তবে সত্যি বলছি, চাইনি, এত তাড়াতাড়ি সব শেষ হয়ে যাক৷ আসলে আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে এমন আনন্দের মুহূর্তগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যাক, কে আর চায়? প্রায় ২৫ বছর বাদে আমার সব আত্মীয় এক জায়গায় এসেছিলেন৷ কিন্তু, একটা কথা বলতে পারি, রাতের পর না ঘুমিয়ে থাকলে, সারাক্ষণ নাচ-গান চলতে থাকলে, শরীর জবাব দিয়ে যায়৷ আর ক্রিকেট খেলার সময় ও তো নিয়মে চলে৷ সকাল ৬টা বা ৭টায় ঘুম থেকে ওঠে, রাত এগারোটার মধ্যে ঘুমোতে যায়৷ শুটিংয়ের সময় আমিও নিয়মে থাকি৷ তাই খানিকটা সমস্যা হয়েছে৷ তবে পাঞ্জাবি বিয়ে বলে কথা৷ সেখানে এরকম হইচই তো হবেই৷’
বিয়ের আগে হরভজন আর গীতার কেউই নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি৷ কেন? হরভজনের কথায়, ‘একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন বাকিদের বলতে যাব আমাদের সম্পর্ক নিয়ে? আমরা দু’জন একে-অন্যকে চিনি, বুঝি৷ বাড়ির লোকেরা, বন্ধুরা এই সম্পর্কের কথা জানতেন৷ তা হলে ঘোষণার কী আছে?’ গীতার কথায়, ‘না, আমরা কখনও সম্পর্কের কথা অস্বীকার করিনি৷ তবে কিছু বলিওনি৷ কারণ, জানতাম, একবার বললেই চর্চা চলতেই থাকবে৷ ব্যক্তিগত জায়গাটা গোপন থাকাই ভাল৷’
৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি
�