রবিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:০৪:৫২

কিংবদন্তীদের মেলায় শচীনের দলকে বড় ব্যবধানে হারাল শেন ওয়ার্নের দল

কিংবদন্তীদের মেলায় শচীনের দলকে বড় ব্যবধানে হারাল শেন ওয়ার্নের দল

স্পোর্টস ডেস্ক: নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোয় সিটি ফিল্ডে বসেছে কিংবদন্তীর মেলা। একপ্রান্তে ইনিংস ওপেন করতে নামলেন শচীন-শেবাগ। অপরপ্রান্তে বল হাতে প্রস্তুত ওয়াসিম আকরাম। আবার ব্যাট হাতে পজিশন ঠিক করে নিচ্ছেন ব্রায়ান লারা। অপর প্রান্তে বল নিয়ে হাত পাকিয়ে চলছেন ‘সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত অ্যালান ডোনাল্ড কিংবা শেন ওয়ার্ন। দৃশ্যগুলো একবার চিন্তা করুণ! শরীরে নিশ্চয় শিহরণ বয়ে যাবে! কে নেই সেখানে? শচীন, শেবাগ, ভিভিএস লক্ষণ, ব্রায়ান লারা, কার্ল হুপার, জয়াবর্ধনে, মঈন খান, শন পোলক, মুত্তিয়া মুরালিধরন, ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার, অ্যালান ডোনাল্ড, জ্যাক ক্যালিস, ম্যাথু হেইডেন, কুমার সাঙ্গাকারা, শেন ওয়ার্ন, কোর্টনি ওয়ালস, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, কার্টলি অ্যামব্রোস, ডেনিয়েল ভেট্টোরি। কয়েক প্রজন্মের ক্ষণজন্মা এসব ক্রিকেটার ভক্তদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই ৯০ এর দশকে। গত দশকেও এসব ক্রিকেটার মাঠ কাঁপিয়েছেন। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও এখনও তো খেলছেন সাঙ্গাকারা কিংবা শেবাগ। ক্যালিস-মুরালিদের খেলা ছাড়ার স্মৃতিতো এখনও তরতাজা। শচীন, পন্টিং, জয়াবর্ধনেরা তো এই সেদিনও খেলেছেন। সবচেয়ে বেশি পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন লারা, ওয়ালস, অ্যামব্রোস, ওয়াসিম আকরাম কিংবা ম্যাথ্যু হেইযেনরা। সব মিলিয়ে দু’তিন দশকের স্মৃতি ক্রিকেট ভক্তদের মনে জাগিয়ে তোলার কাজটি করে বসলেন শেন ওয়ার্ন আর শচীন টেন্ডুলকাররা। মহা প্রতিক্ষিত অলস্টারস সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়ালো আজ রাত বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়। তখন থেকেই টিভি সেটের দিকে চোখ দুনিয়ার তাবৎ ক্রিকেট ভক্তদের। পুরনো তারকাদের আবার মাঠে নামা দেখতে সে কি অধীর আগ্রহ! বেজবল খেলার মাঠ সিটি ফিল্ডে যখন শচীন আর ওয়ার্ন নামলেন টস করতে, তখন উপস্থিত দর্শকদের সেকি হর্ষধ্বনি। ম্যাচটিতে সহজেই ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে শেন ওয়ার্নের ‘ওয়ার্ন ওয়ারিয়র্স।’ তবে জয় পরাজয় বড় কথা নয়, এক সময় ক্রিকেট মাঠে যারা ছিলেন একে অপরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা কিভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আবারও মাঠে নামলেন, সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিষয়। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়ার্ন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন। ব্যাট করতে নেমে শচীন-শেবাগ ওপেনিং জুটিতেই তোলেন ৮৫ রান। ওয়াসিম আকরাম আর অ্যালান ডোনাল্ড দুই প্রান্ত থেকে বোলিং করে গেছেন। এ দু’জনের পর বোলিং করেন কোর্টনি ওয়ালস, জ্যাক ক্যালিস, শেন ওয়ার্ন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ওয়ার্ন আর সাইমন্ডসই ছিলেন সবচেয়ে সফল। ওয়ার্ন ২০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাইমন্ডস নেন ১৫ রানে তিন উইকেট। শচীন ২৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও শেবাগ করেন ৫৫রান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে শচীন ব্লাস্টার্স। জবাবে ভ্যাট করতে নামেন ক্যালিস আর হেইডেন। শোয়েব আখতার বোলিং করেন এক প্রান্তে। অপরপ্রান্তে শন পোলক। শোয়েব আখতার ২ উইকেট নিলেও, সাঙ্গাকারার ৪১ এবং রিকি পন্টিংয়ের অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসই ১৬ বল হাতে রেখে ওয়ার্ন ওয়ারিয়র্সকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেয়। ওয়াসিম, ওয়ালস, শোয়েব আখতার কিংবা শন পোলকরা যেভাবে বোলিং করেছেন, কিংবা হেইডেন, পন্টিং, শেবাগ, শচীনরা যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, দেখে যেন মনে হবে, এখনও এই সময়ে তারা যে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার যোগ্যতা রাখেন। ৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে