ম্যাচ চলার সময় ক্রিকেট মাঠে সাপের মিছিল!
স্পোর্টস ডেস্ক : এক সাপে রক্ষা নেই! ঠিকই পড়ছেন৷ 'রাম' নয় 'সাপ'৷ শনিবার বিদর্ভের বিরুদ্ধে প্রথম দিনই জোড়া সাপের বীণে জেরবার বাংলা! বিদর্ভের লোগোতে সাপের ছবি৷ তাদের হাতেই প্রথম দিনই ১১৮-১ থেকে ২১৭-৭ স্কোর নিয়ে ধুঁকছে বাংলা৷ ক্রিজে লড়ছেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪৯ ব্যাটিং)৷ ব্যর্থ মনোজ তিওয়ারি (৩)৷
দ্বিতীয় সাপ অবশ্য লোগোর নয়, জলজ্যান্ত! ক্রিকেট মাঠে সাপের মিছিল, আসহায় ক্রিকেটারর! এ দিন সকালে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সেই সাপই সুপারহিট৷ তখনও লাঞ্চ হয়নি৷ হঠাত্ই দেখা গেল নাগ মহারাজ মাঠের প্যাভিলিয়নের সামনের আউট ফিল্ডে মর্নিং ওয়াকের মেজাজে!
উইকেটে তখন জাঁকিয়ে বসেছেন বাংলার দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৫৮) ও সায়নশেখর মন্ডল (৫৬)৷ তাই বিদর্ভও ফিল্ডিং বেশ সজাগ৷ কিন্তু ক্রিকেট খেলতে এসে কে আর 'নাগিনা'-র অমরীশ পুরীর মতো সাপের ছোবল খেতে চান? আউটফিল্ড থেকে পিচের দিকে দে দৌড় বিদর্ভ ফিল্ডারদের!
প্যাভিলিয়ন থেকে বাংলা শিবিরও মাঠে নেমে পড়েছে৷ ভয়ের সঙ্গে সেখানে মিশে কর্তব্যবোধ৷ হোম ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব যখন বাংলার, সাপ তাড়ানোর দায়িত্বটাও তো নিতে হবে৷ বাংলার ম্যানেজারকে দু'হাত তুলে ছুটে আসতে দেখা গেল৷ ম্যাসিওর মাঠে নেমে পড়লেন সাপ তাড়াতে৷ মিনিট খানেক বন্ধও থাকল খেলা৷ সবটাই হল জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি সাবা করিমের সামনে!
এখানেই শেষ নয়৷ সাপ দেখা গেল বাংলার ড্রেসিংরুমের বাথরুমেও৷ এমনিতে সাপের ব্যাপারটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা চললেও মনের কোণে সবারই যে ভয়, সেটাও টের পাওয়া গেল৷ সল্টলেকের মাঠের মধ্যে অস্থায়ী ছাউনি টাঙিয়ে ম্যাচ রেফারি, তৃতীয় আম্পায়ার, স্কোরারদের বসার ব্যবস্থা৷ লাঞ্চের সময় দিল্লির হয়ে পঞ্চাশের বেশি রঞ্জি খেলা, ম্যাচ রেফারি মন্নু কুমারকে বাংলার ম্যানেজারের কাছে এসে বলতে শোনা গেল, 'দাদা, আমাদের জায়গাটা একটু দেখবেন৷'
বিকেলের দিকে অবশ্য সিএবি কর্তারা কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন, কিন্তু ততক্ষণে অন্য সাপ, মানে বিদর্ভের অফ স্পিনার অক্ষয় ওয়াখড়ের (৪-৪০) কামড়ে বিক্ষত বাংলা। -টাইমস অফ ইন্ডিয়া
৮ নভেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর