সেদিনটা ছিল একদম স্পেশাল : দুর্জয়
স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কাল মঙ্গলবার পনের বছর। ১৫ বছর পার করে ফেলবে টাইগাররা। পা দেবে ১৬তম বছরে। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট ম্যাচ।
ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে টস করতে নেমেছিলেন ২৬ বছর বয়সী নাঈমুর রহমান দুর্জয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য হলেও সেদিনের কথাটি আজো মনকে নাড়া দেয় তার।
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ চলকালীন সোমবার বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে এসে অভিষেক টেস্ট ম্যাচের স্মৃতি রোমান্থন করেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
অভিষেক টেস্ট ম্যাচের সেই স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অভিষেক টেস্টে যে অধিনায়ক থাকবো, এটা আগে থেকে কখনো ভাবিনি। তবে বিশ্বকাপের পর থেকে এ ভাবনা শুরু হয়। যেহেতু প্রথম টেস্ট, টসটাই সবচেয়ে স্মরণীয়। এরপর কী ঘটবে জানা ছিল না। তবে টসটা করতে পারবো, এ নিশ্চয়তা ছিল।
আকরাম ও বুলবুলের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার দলে থাকায় ২৬ বছর বয়সী অভিষেক টেস্টে অধিনায়কের গুরুদায়িত্বটা নাঈমুরের কাঁধে বর্তায়। তাই একটু স্নায়ুচাপেও ছিলেন তিনি, এমনটাই জানালেন।
এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক বলেন, ওই সময়টা একটু বেশি নতুন ছিলাম। ইমোশনও একটু বেশি ছিল। সবকিছুই অপরিচিত লাগছিল। প্রথম টেস্ট খেলেছিলাম, প্রতিটা ঘটনাই খুব স্পেশাল ছিল। তবে আইসিসি ট্রফি জেতার পর একটু গতি বাড়ে। তখন থেকে টার্গেটগুলো বড় হতে শুরু করে।
অভিষক টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধন করতে সেদিন মাঠে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়রা মাঠে ঢোকার আগেই স্টেডিয়ামের গেটে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এসব বিষয় কোনোভাবেই আলাদা করতে পারেন না নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
প্রত্যেকটা বিষয়ই দারুণ স্পেশাল ছিল। প্রধানমন্ত্রী মাঠে আসলেন। মাঠে এসে উদ্বোধন করলেন। আমরা টস করলাম। আসলে সবার কাছেই যেন অন্যরকম। সেদিনটা ছিল একদম স্পেশাল।
৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�