ভারতীয় ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন
স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর শশাঙ্ক মনোহরের প্রতিশ্রুতি ছিল বোর্ডের আমূল সংস্কার৷ যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বার্থের সংঘাত৷ প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভাতেই কথা রেখেছেন মনোহর৷ ভারতীয় বোর্ডে 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' বা স্বার্থের সংঘাত ব্যধি সারাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেন মনোহর৷ তাত্পর্যপূর্ণভাবে ভারতীয় বোর্ডে ক্ষমতা বাড়ল সৌরভ গাঙ্গুলীও৷একনজরে দেখে নেওয়া যাক মনোহরের নয়া সিদ্ধান্তগুলি:
১. জাতীয় নির্বাচক পদে অপসারিত রজার বিনি : বাবা জাতীয় নির্বাচক৷ ছেলে জাতীয় দলে৷ রজার বিনি ও স্টুয়ার্ট বিনিকে নিয়ে বারবার মাথাচাড়া দিয়েছে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিটি থেকে সরানো হল রজার বিনিকে৷ তার জায়গায় দক্ষিণাঞ্চল থেকে কমিটিতে এলেন সাবেক উইকেটরক্ষক এমএসকে প্রসাদ৷
২. আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য পদে অপসারিত রবি শাস্ত্রী : একদিকে জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর৷ অন্যদিকে ছিলেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে৷ ফের স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন৷ বিতর্ক এড়াতে তাই আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল থেকে সরানো হল রবি শাস্ত্রীকে৷ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রইলেন রাজীব শুক্লই৷ স্বার্থের সংঘাত প্রসঙ্গে মেলা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য সাবেক বিচারপতি এপি শাহের নেতৃত্বে এথিক্স কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
৩. কুম্বলের জায়গায় বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটি প্রধানের নতুন দায়িত্বে সৌরভ : অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান করা হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে৷ ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বোর্ডকে রিপোর্ট দেওয়াই এই কমিটির মূল দায়িত্ব৷ যদিও, তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার৷ শেষপর্যন্ত মনোহরী সংস্কারে খোলনলচে বদলে টেকনিক্যাল কমিটির মুখ এখন সৌরভ৷
এর পাশাপাশি, এদিন ছয়টি স্টেডিয়ামকে টেস্ট কেন্দ্র হিসেবে উত্তীর্ণ করা হয়। সেগুলি হল বিশাকাপত্তনম, রাজকোট, পুণে, রাঁচি, ধর্মশালা ও ইনদৌর।
১০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি
�