আর খেলুম না, মুস্তাফিজ কাটার মারে!
স্পোর্টস ডেস্ক : কেমন আছেন ভাই? যখন থেকে শুনতে পেয়েছি বাংলাদেশ টিমে আইএসদের খেলার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই, তখন থেকে বেশ ফুরফুরে আছি।
এর মানে কী মিয়া?
আর খেলুম না, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে আইএস আছে! 'আই' মিনস ইমরুল কায়েস আর 'এস' মিনস, সৌম্য সরকার। দুজন সংক্ষেপে আইএস। ক্লিয়ার? শুনেছি, ইমরুল দলে নেই, তা ছাড়া সৌম্যর ইনজুরি। তাঁর খেলার চান্স ফিফটি ফিফটি।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, এই দুজন ছাড়া আপনারা আর কাউকে ভয় পান না! কে বলেছে ভয় পাই না। বিশেষ করে আমি তো তামিম ইকবালকে জমের মতো ভয় পাই!
নিশ্চয়ই তাঁর ড্যাশিং ব্যাটিংকে?
ব্যাটিং না, ভয় পাই তাঁর সেই বিজ্ঞাপনের ক্রিমকে। যেটা ইউজ করে মানুষ নাকি সাদা হয়। ভাই, একটা সত্য কথা কই। আমার বউ আমার প্রতি ক্রাশ খাইছে আমার গায়ের রং দেখে। এখন যদি তামিম সাহেব সেই ক্রিম দিয়ে আমাকে সাদা করে ফেলে, তাহলে আমার সব শেষ। আই মিন, আমার বউ আমাকে চিনতে পারবে না। তাই আমার বউ কইছে তামিম থেকে দূরে থাকতে।
আচ্ছা, কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকে নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
মুস্তাফিজকে নিয়ে আমাদের সব পরিকল্পনা শেষ। উনি চাইলেও আমাদের কোনো উইকেট পাবেন না।
কেমনে কী?
আপনি অবাক হচ্ছেন কেন? আগে আমাদের পরিকল্পনাটা শুনুন। আমরা ঠিক করেছি, প্রথমে যে বোলিংয়ে আসবে আমরা তার ওভারে সব আউট হয়ে যাব, তবুও মুস্তাফিজ সাহেবকে উইকেট দিমু না।
এটা কী করে সম্ভব? ওভারে তো মাত্র ছয় বল থাকে।
সেটা ব্যাপার না। আমরা ম্যানেজ করে নেব।
কিন্তু শুরুতেই যদি মুস্তাফিজ চলে আসে, তাহলে কী করবেন?
অস্ট্রেলিয়া যা করেছে আমরাও তা-ই করব। আই মিন নিরাপত্তার অজুহাতে আপনাদের দেশ ছেড়ে জানটা নিয়ে চলে যাব।
এখানে নিরাপত্তার ব্যাপারটা আসছে কেন?
ভাই, আপনি তো রম্য লেখক, ক্রিকেটার না। ক্রিকেটার হলে বুঝতেন কাটার কারে কয়। দেখেননি মুস্তাফিজের কাটারের ভয়ে ধোনি সাব তাঁরে ধাক্কা দিয়ে মাঠ থেকে বাইর কইরা দিয়ে শেষ রক্ষা পাননি। ছেলেটা একটু পর মাঠে আইসা তারে উল্টো বের করে দিলেন। আর আপনি কইতেছেন, মুস্তাফিজের বল খেলুম? আমি বোকা না। আমরা তো ঠিক করেছি, মুস্তাফিজ বোলিংয়ে এলে আমরা সবাই মিলে মাঠে স্লোগান দেব, মুস্তাফিজের কাটার খেলুম না, গুলি করো।
ঘোড়ার ডিমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি এতক্ষণ ঘোড়ার ডিমে সাক্ষাৎকার দিছি?
ভয় পাচ্ছেন কেন? আপনি কি জানেন, ঘোড়ার ডিম বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ফান ম্যাগাজিন।
সেটা আমি জানি, কিন্তু আমার বউ তো জানে না। তা ছাড়া বউ বাংলাদেশে আসার আগে বলছিল, বড় বড় টিম বাংলাদেশে গিয়ে ঘোড়ার ডিম পেড়ে আসছে। তুমিও যাও, ঘোড়ার ডিম নিয়ে আসো। এখন যদি শোনে, আমি ঘোড়ার ডিমে সাক্ষাৎকার দিছি, তাহলে আবার আমার সম্পর্কে উল্টাপাল্টা ভাববে।
তো এখন কী করা যায়?
তেমন কিছু করতে হবে না। আপনি জাস্ট লিখে দেবেন-এটা কাল্পনিক সাক্ষাৎকার।-কালের কন্ঠ
১০ নভেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর