মাহিয়ান মিশুক: ওপেনিং পজিশনে শুধু মানিয়ে নেওয়াই নয়, রীতিমত ঝড় তুলে যাচ্ছেন এই বাঁ-হাতি। ওপেনিং পজিশনে শুধু মানিয়ে নেওয়াই নয়, রীতিমত ঝড় তুলে যাচ্ছেন এই বাঁ-হাতি।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) বেশ ক’দিন হল ওপেনার বনে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অফ স্পিনার সুনিল নারাইন। আর সেই পজিশনে শুধু মানিয়ে নেওয়াই নয়, রীতিমত ঝড় তুলে যাচ্ছেন এই বাঁ-হাতি।
তাঁর স্কোরগুলো সেটাই প্রমাণ করে। এবার এরই ধারাবাহীকতায় নারাইন করলেন ১৭ বলে ৫৪ রান। ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি এখন আইপিএলের ইতিহাসে দ্রততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক। এর মধ্যে ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। এর মধ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর স্বদেশী স্যামুয়েল বদ্রিনাথের এক ওভারেই নিলেন ২৫ রান!
কিন্তু, এই বদলে যাওয়ার রহস্য কী? এই রূপান্তরের পিছনে রয়েছে উইন্ডবল ক্রিকেট। উইন্ডবল ক্রিকেট আসলে কী? ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে মিনি প্রিমিয়ার লিগকে উইন্ডবল ক্রিকেট বলা হয়।
সেখানে খেলা হয় কংক্রিটের পিচে। আট ওভার করে এক একটি ইনিংস। যে হেতু ওভার সংখ্যা কম, তাই শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে হয় ব্যাটসম্যানদের। নারাইন এই টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। শুধু নারাইনই নয়, ডোয়াইন ব্র্যাভো, কাইরেন পোলার্ডের মতো ক্রিকেটারকেও উইন্ডবল ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়।
দশ বছর ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন এআর শ্রীকান্ত বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে সুনীলের বাড়িতে ট্রফির পর ট্রফি সাজানো। আইপিএল ছাড়া বাকি ট্রফিগুলো কিন্তু উইন্ডবল ক্রিকেটে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্যই।’
নারাইনের সেই ধারাবাহীকতা থাকলো এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে করলেন ৭৬ রান। ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কা।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস